সোমবার , ১ মে ২০২৩ | ২রা কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

আতঙ্কে লক্ষ্মীপুরবাসী, ৭ মাসে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৩ নেতা খুন

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ১, ২০২৩ ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে এক সময়ের আতঙ্কের জনপদ লক্ষ্মীপুর শান্ত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু হঠাৎ করে আবারও অশান্ত হয়ে পড়েছে এ জনপদ। একের পর এক হত্যা পুরো জেলায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। 

প্রায় ৭ মাস আগে বশিকপুরের যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেই খুনের রেশ কাটতে না কাটতেই একই এলাকায় জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমামকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ‘খুনোখুনির’ এলাকা হিসেবে পরিচিত বশিকপুরেই গত দুই যুগে হত্যা করা হয়েছে ২৪ নেতাকর্মীকে। দলীয় নেতাদের মরদেহ তৃণমূল আওয়ামী লীগে অসন্তোষ ও ভীতি সৃষ্টি করছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জেলা যুবলীগ পরিবারের ব্যানারে নোমান-রাকিব হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে। এতে হত্যার সঙ্গে জড়িত মূলহোতাকে ক্রসফায়ারসহ আসামিদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন বক্তারা।

এদিকে হত্যা মামলার চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব-১১। তাদেরকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু আটক হননি প্রধান আসামি চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম জিহাদি, দ্বিতীয় আসামি মশিউর রহমান নিশান ও রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক দেওয়ান ফয়সালসহ এজাহারভুক্ত ১৫ জন। তাদের অবস্থানও নিশ্চিত নয়। ঘটনার পর থেকেই কাশেম আত্মগোপনে রয়েছেন। এখনো তিনি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে কাশেম জিহাদি প্রধান আসামি হলেও জেলা আওয়ামী লীগ থেকে এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। পুলিশের তদন্তে যদি তিনি দোষী প্রমাণিত হলে তবেই দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। এমনকি নিহত নোমান জেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হলেও কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি পিংকু বলেন, কাশেম জিহাদি আমাদের দলের নেতা। তাকে নোমান-রাকিব হত্যায় আসামি করা হয়েছে। আসামি যে কেউই হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রকৃত আসামিদের শনাক্ত করতে কাজ করছে। যদি কাশেম প্রকৃত দোষী হয় তাহলে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর নোমান-রাকিব হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আমরা মানববন্ধনের আয়োজন করব। শিগগিরই এ কর্মসূচি পালন করা হবে।

মামলার দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মশিউর রহমান নিশানকে। তিনি জিহাদী বাহিনীর অন্যতম সদস্য। তবে সদর (পশ্চিম) উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব ও সদর (পূর্ব) উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমু বশিকপুরকে নিজেদের এলাকা বলে স্বীকার করছেন না। যুবলীগ নেতা আমির হোসেন বলেন, বশিকপুর আমার এলাকা নয়। এটি লক্ষ্মীপুর-২ আসনে পড়েছে, সেই সূত্রে এ ইউনিয়ন সদর পশ্চিমের আওতায়। যুবলীগ নেতা মাহবুব বলেন, চন্দ্রগঞ্জ থানা হওয়ার পর থেকে বশিকপুর নিয়ে আমাদের তৎপরতা নেই। ওই ইউনিয়নে নতুন কোন কমিটিও গঠন করিনি আমরা। আর নিশানকে আসামি করা হয়েছে তাও আমাদের জানা নেই।

এছাড়া নোমান-রাকিব হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয় একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে অস্ত্র হাতে আটজন যুবককে হাঁটতে দেখা যায়। সেখানে রামগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক দেওয়ান ফয়সালকে দেখা গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাকে মামলার ৩ নম্বর আসামি করা হয়। কিন্তু ফয়সাল ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত সদর উপজেলা উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের ছৈয়ালখালী গ্রামে ফয়সাল ভূঁইয়ার গায়ে হলুদে ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন। এজন্য তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক