বুধবার , ১০ মে ২০২৩ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

উন্নয়নের চাপাবাজির নামে দেশকে দেউলিয়া করেছে আ.লীগ: রিজভী

প্রতিবেদক
Newsdesk
মে ১০, ২০২৩ ৩:২৩ অপরাহ্ণ

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের তথাকথিত উন্নয়নের নামে দেশে যে সীমাহীন লুটপাট হয়েছে তার সব দেনা সাধারণ মানুষের ঘাড়ে পড়েছে। চলতি বছর শুধুমাত্র ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হবে লাখ কোটি টাকার বেশি।

উন্নয়নের চাপাবাজির নামে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১০ মে) দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লুটেরা দুর্নীতিবাজ চক্র আয়েশী জীবন কাটালেও সাধারণ মানুষের এখন ‘নুন আন্তে পান্তা’ ফুরায় অবস্থা। সরকারের লোকজনের সীমাহীন দুর্নীতিতে দ্রব্যমূল্য, সার-বীজ, কীটনাশকসহ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিসহ তীব্র দাবদাহে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবনে নাভিশ্বাস চলছে।

তিনি বলেন, এই তীব্র দাবদাহে শহরে ৫-৬ ঘণ্টা এবং গ্রামাঞ্চলে ১২-১৪ ঘণ্টা লোডশেডিং চলছে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা চলছে। ইতোমধ্যে দেড় বছরে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৭৪ শতাংশ। ডলারের বিনিময় হার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকগুলো লুটপাট করে দেউলিয়া করে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকসহ সব ব্যাংক গিলে ফেলেছে ক্ষমতাসীন রাঘববোয়ালরা। প্রধানমন্ত্রী সারাক্ষণ বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। তা হলে অর্থপাচার করল কারা?

বিএনপির এই নেতা বলেন, অর্থপাচারকারীদের নাম প্রকাশিত হচ্ছে কেবল ক্ষমতাসীন দলের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এবং আওয়ামী নেতাদের। ঋণের নামে ব্যাংক খালি করল কারা? বিপুল রিজার্ভের তথ্য দিয়ে জোরেশোরে ঢোল বাজালেন প্রধানমন্ত্রী, সেই রিজার্ভ এখন তলানিতে ঠেকল কীভাবে? এই সরকার উন্নয়ন ঘটিয়েছেন শুধু কেলেঙ্কারিতে। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে, পদ্মা সেতুতে, মেগা প্রজেক্টের নামে, বিদ্যুৎ, গ্যাস পানিতে, প্রশ্নফাঁসে, নিয়োগবাণিজ্যসহ সবচেয়ে বড় নজিরবিহীন কেলেঙ্কারি হচ্ছে ভোট ডাকাতি।

কারগারে যুবদল নেতাদের নির্যাতন করা হচ্ছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, আমরা ইতোপূর্বে কারাগারে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর কারাকর্তৃপক্ষের অমানুষিক নিপীড়ন-নির্যাতনের কথা জানিয়েছি। যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে ২৪ ঘণ্টা লকআপে রাখা হয়েছে। কেন তার ওপর এই বর্বরোচিত আচরণ তা জেল কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে হবে। এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে জেলের ছোট্ট কক্ষে দিনরাত পার করতে হচ্ছে সাইফুল আলম নীরবকে। এটি সুষ্পষ্ট যে, স্বারষ্ট্রমন্ত্রী প্রভাব খাটিয়ে সাইফুল আলম নীরবকে কারাগারের মধ্যে যন্ত্রণা দিচ্ছেন। কারণ একই নির্বাচনী এলাকায় রাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে বিএনপি’র প্রার্থী হন সাইফুল আলম নীরব। একইভাবে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে কারাগারে আটকিয়ে রাখতে একের পর এক গায়েবি মামলা দেওয়া হচ্ছে। যে সকল মামলার সঙ্গে মুন্নার লেশমাত্র সম্পর্ক ছিল না। কারাজীবন প্রলম্বিত করার জন্যই অবৈধ সরকার মুন্নার ওপর বহুমাত্রিক নিপীড়ন নামিয়ে এনেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিথ্যাচারের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি। এসময় রিজভী বলেন, ক্ষনে ক্ষনে তাদের বক্তব্য পরিবর্তন হলেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচন হবে না। দেশ-বিদেশের মানুষও তা মেনে নেবে না।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত