ঢাকা-১৭ আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের (হিরো আলম) মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১৮ জুন) যাচাই-বাছাই শেষে তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়।
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া আলোচিত অনলাইন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদ মনোনীত মামুনূর রশিদসহ আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
ঢাকার আগারগাঁওয়ে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে রোববার মনোনয়ন বাছাই শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
তিনি বলেন, ১৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। বাকি আটজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী, এ আসনে উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ১৫ জুন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৫ জুন পর্যন্ত। ২৬ জুন হবে প্রতীক বরাদ্দ। আগামী ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে।
এ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ২০ জন মনোনয়ন ফরম কিনলেও জমা দিয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের মনোনীত ১০ জন এবং ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আগারগাঁওয়ের জেলা নির্বাচন অফিসে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়ন ফরম জমা দেন হিরো আলম।
গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য হয়। সংসদের কোনো আসন শূন্য হলে নব্বই দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে হয়। এই হিসাবে আসনটিতে ১২ আগস্টের মধ্যে উপনির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সেই সময় ধরে পরবর্তী পাঁচ বছর মেয়াদ ধরলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অর্থাৎ আসনটিতে যিনি নির্বাচিত হবেন তিনি পাঁচ মাসের মতো সময়ের জন্য সংসদ সদস্য হবেন।