রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আর একদিন বাকি। বুধবার সকাল আটটা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হবে, চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত।
এদিকে মহানগরটির প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাত স্তরের নিরাপত্তাসহ ইতিমধ্যে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নিউ গভ. ডিগ্রি কলেজ থেকে ভোট কেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা নির্বাচনী সরঞ্জাম বুঝে নেন। এরপর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ত পৌঁছে দেয়া হয়।
এর আগের সকাল সাড়ে আটটার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ লাইনে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং করেন পুলিশ কমিশনার আনিসুর রহমান।
পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে এবার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করবে করা হবে না। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ করতে বিজিবি, র্যাব , পুলিশ ও ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে।
পরে র্যাব-৫ এর অধিনায়ক সকাল ৯টায় র্যাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন। এ সময় তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন নগরীতে টহল থাকবে তাদের।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন ২৫০ জন র্যাব ও বিজিবির ১০ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবেন তিন হাজার ৫১৪ জন পুলিশ, এক হাজার ৯৩৫ আনসার সদস্য। থাকবেন ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১০জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকবেন তিন হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা। ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে এক হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন থাকছে প্রায় এক হাজার ৭৩০টি।
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, নির্বাচনে সাত স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি জানান, মহানগরের ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৭টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রাসিকে মেয়র পদে প্রার্থী চার জন। সাধারণ ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১জন ও সংরক্ষিত ১০টি ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর প্রার্থী ৪৬ জন। তবে সাধারণ ওয়ার্ডের একটিতে কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
মহানগরীর মোট ভোটার তিন লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন।