রাশিয়ার ‘প্রাইভেট আর্মি’ ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাত করে তবেই তিনি মরবেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে রাশিয়া তার বিরুদ্ধে সামরিক বিদ্রোহের অভিযোগ আনে।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেন, ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধারা ইউক্রেনের সীমান্ত অতিক্রম করে রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহরে প্রবেশ করেছে।
এদিকে রাশিয়া থেকে আসা খবর অনুযায়ী, ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রোস্তোভ-অন-দন শহরে রুশ সেনাবাহিনীর দক্ষিণাঞ্চলীয় সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন।
একটি ভিডিওতে ইয়েভগেনিকে প্রিগোজিন সদর দপ্তরে প্রবেশ করতে এবং সেখানে অবস্থানরত সামরিক কমান্ডারদের সাথে হাত মেলাতে দেখা যায়।
এক ভিডিওতে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও জেনারেল ভ্যালেরি গেরাসিমভক যদি তার সঙ্গে দেখা করতে না আসেন, তাহলে তিনি মস্কোর দিকে রওনা হবেন।
প্রিগোজিন বলেন, আমরা এখানে সেনাপ্রধান ও শোইগুর সঙ্গে দেখা করতে চাই। তারা না আসা পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব, রোস্তভ শহর অবরোধ করব এবং তারপর মস্কোর দিকে অগ্রসর হবো।
এদিকে মস্কোর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোর সংযোগকারী প্রধান মহাসড়ক এম ফোর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লিপেটস্ক প্রদেশের গভর্নর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এম ফোর হাইওয়ে রোস্তভ এবং মস্কোকে সংযুক্ত করে।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলছেন যে তার পথে আসবে তাকে ধ্বংস করবে তার যোদ্ধারা।
প্রাদেশিক গভর্নর নাগরিকদের শান্ত থাকতে এবং ঘরের ভেতরে থাকতে বলেছেন। রয়টার্স রোস্তভের রাস্তায় অবস্থানরত ওয়াগনার গ্রুপের যোদ্ধাদের ছবি প্রকাশ করেছে।
এদিকে ইয়েভগেনি প্রিগোজিন দাবি করেছেন, তার যোদ্ধারা একটি রুশ হেলিকপ্টার ভূপাতিত করেছে।
তবে তিনি ঘটনার স্থান নির্দিষ্ট করেননি এবং তাৎক্ষণিকভাবে তার দাবি যাচাই করা কঠিন।
ওয়াগনার গ্রুপ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করা বেসরকারি যোদ্ধাদের একটি সেনাবাহিনী।
যুদ্ধে লড়াইয়ের পদ্ধতি নিয়ে ওয়াগনার গ্রুপ এবং রুশ সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছিল। ইয়েভগেনি প্রিগোজিন ক্রমশই রাশিয়ার সামরিক কমান্ডারদের প্রতি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছিলেন।
শুক্রবার ৬২ বছর বয়সী ইয়েভগেনি প্রিগোজিন রাশিয়ার সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে তাদের যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর অভিযোগ করেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।
রুশ কর্মকর্তারা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তাদের উচিত অবিলম্বে অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।
ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বলেছেন, রাশিয়ার সামরিক নেতৃত্বের ওপর আধিপত্য বিস্তারকারী অশুভ শক্তি দমন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচারের জন্য তিনি এগিয়ে যাবেন।