বুধবার , ২ আগস্ট ২০২৩ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে মঙ্গা হয়: শেখ হাসিনা

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২, ২০২৩ ৮:২৮ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে কখনো মঙ্গা হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মঙ্গা হয়, দুই হাত ভরে লুটপাট করে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি আগুন করে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। ওরা কি মানুষের জাত! ক্ষমতায় থাকতে লুটপাট করে, ক্ষমতার বাইরে থাকলে ধ্বংস করে বিএনপি। জ্বালাও পোড়াও ধ্বংসই করতে পারে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপির নেতারা।

বুধবার বিকেলে রংপুর জেলা স্কুল মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপিরই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের মামলায় শাস্তি পাচ্ছে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান। বিএনপি ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে। একটা গোষ্ঠি আছে যারা দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলে। এই খেলা শুরু হয়েছিলো জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে।

তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়, সেটা প্রমাণ করেছি। কৃষকের আর সারের জন্য আন্দোলন করতে হয় না। অথচ খালেদা জিয়া সারের জন্য কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। বাকি যারা ক্ষমতায় ছিলো কোনো কাজ করেনি। নৌকা মার্কা ক্ষমতায় থাকলে মানুষের উন্নয়ন হয়। নৌকা মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করেছে; আওয়ামী লীগ মানুষের উন্নয়নে কাজ করে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারে যখনই এসেছে এই রংপুরে কখনো মঙ্গা হয় নাই। রংপুরে কখনো খাদ্যের অভাব দেখা দেয়নি। দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে, নৌকা মার্কায় ভোট পেলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আওয়ামী লীগ সরকারে আসলে, নৌকা মার্কায় ভোট পেলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি।

তিনি বলেন, যখন ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসেছিলাম, তখনো মঙ্গা ছিল না কিন্তু ২০০১ সালে যখন ওই খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসে, ২ হাতে টাকা-পয়সা লুট করে। সে, তার ছেলেরা মিলে, এই দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। আবার দেশে মঙ্গা শুরু হয়। ২০০৮ এর নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি। তারপর থেকে আমি যে পদক্ষেপ নিয়েছি, তারপর থেকে এ দেশের মানুষের কোনো কষ্ট হয় নাই।

আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, সরকারের প্রতিটা কাজের লক্ষ্য মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা, দেশের উন্নয়ন করা। রংপুর অঞ্চলে আর কখনো কোনদিন দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে না। সরকার সেভাবেই সব ব্যবস্থা নিয়েছে। আওয়ামী লীগ কৃষকের বন্ধু, কৃষকদের ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সারের দাম কমেছে। আওয়ামী লীগের সময় সার চাইতে হয় না, কৃষকের ঘরে পৌঁছে যায়।

বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজনে বাবার মতো জীবন দিবো- এমন প্রত্যয় জানিয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, নৌকায় ভোট দিয়ে আবারো জনসেবার সুযোগ দিবেন এটাই চাই। মানুষ যাতে শান্তিতে ভোট দিতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। বিদ্যুতের কোন সমস্যা থাকবে না। তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে আওয়ামী লীগ সরকার।

রংপুরে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং তিস্তা মহা-পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিলে উন্নয়ন হয়, মানুষের ভাগ্যের চাকা পরিবর্তন হয়। একমাত্র নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আসলেই মানুষের উন্নতি হয়। কাজেই নৌকায় ভোট দিয়ে আবারও আমাদেরকে কাজের সুযোগ করে দেবেন সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।

রংপুরে বন্ধ হওয়া সুগার মিল যেন পুনরায় চালু হয় সে ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দেশের সব বিভাগীয় অঞ্চলে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। তারই ধারাবাহিকতায় রংপুর মেডিকেলকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হবে।

দেশের মানুষের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে সেই ব্যবস্থা করেছি, ভোটার তালিকা করেছি, স্বচ্ছ ভোট বাক্স করেছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ২০৪১ সালে মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত দেশ রেখে যাব।

সরকার প্রধান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, বা, মা, ভাই হারিয়েছি, আমার হারাবার কিছু নেই। বাংলাদেশের জনগণই আমার পরিবার আমার সংসার। জনগণের জন্যই কাজ করে যেতে চাই।

এর আগে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মঞ্চে উপস্থিত হন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে নেতা-কর্মীরা তাকে বরণ করে করে নেন।

জনসভাস্থলে গিয়ে শুরুতেই শেখ হাসিনা প্রায় ১ হাজার ২৪০ কোটি টাকার ২৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক