প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন করতে দেয়া হবে না বলে হুমকি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটানো হবে।
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রতিবাদ সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান আদালতে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
মির্জা ফখরুল বলেন, পতন নিশ্চিত জেনে সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। গ্রেফতার ও আদালতকে ব্যবহার করে আন্দোলন দমন করা যাবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচন নিয়ে বিবেকের চাপ প্রসঙ্গেও কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নাকি বিবেকের চাপ অনুভব করছে। এটা চরম হাস্যকর কথা। আওয়ামী লীগের বিবেক বলেই তো কিছু নেই।
সমাবেশের বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন সমাগত। জনগণের চাপের মুখে সরকার বেশিদিন টিকতে পারবে না। তাই, সরকার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বিএনপি নেতারা যাতে নির্বাচন করতে না পারে সেজন্য অস্বাভাবিক দ্রুততায় রায় দিচ্ছে। এটা ক্যামেরা ট্রায়াল ছাড়া আর কিছু নয়।
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ আদালত তারেক রহমান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এই রায় দিয়েছে। গণতন্ত্র মুক্তি না পেলে বিচারকরা স্বাধীনভাবে বিচার করতে পারবে না।
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভয় পেয়ে সরকার তড়িঘড়ি করে এই রায় দিয়েছে। প্রতিহিংসার কারণে সরকার বিরোধী মতকে দমন করছে। এই সরকারের হাতে কেউ নিরাপদ নয়।