মঙ্গলবার , ২২ আগস্ট ২০২৩ | ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলাধুলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

সবার আগে দেশ, হাসিনা আক্তার

প্রতিবেদক
Newsdesk
আগস্ট ২২, ২০২৩ ১২:১৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্পেনে টেবিল টক ইউকের পরিচালক লন্ডন প্রবাসী সাংবাদিক ও লেখক হাসিনা আক্তারের আগমন উপলক্ষে রাজধানী মাদ্রিদস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির পক্ষে বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির উপস্থিতিতে এক সংবর্ধনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৮ ই আগস্ট) মাদ্রিদের বাঙ্গালী অধ্যুষিত লাভাপিয়েস এলাকার বাংলা টাউন রেস্টুরেন্টে বিল্লাল হোসেন শাকিল এর সভাপতিত্বে ও ইফতেখার আলম এবং পিয়াস পাটোয়ারীর যৌথ সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্পেন বাংলা প্রেস ক্লাবের সদস্য ও এটি এন বাংলা ইউ কে স্পেন প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রাহমান।

অতিথির বক্তব্যে হাসিনা আক্তার বলেন, প্রবাসে কমিউনিটির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে দেশ ও জাতিকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই প্রবাসে থাকা সাংবাদিকদের লক্ষ্য হওয়া উচিত। টেবিল টকের প্রধান সম্পাদক হাসিনা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন প্রানপ্রিয় বাংলাদেশে এখন স্বৈরাচার সরকারের রাজত্ব চলছে। যেখানে কোনো ধরনের বাক স্বাধীনতা নেই। হাসিনা আক্তার বলেন বাংলাদেশে প্রহসনের মুখে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মৌলিক মানবাধিকার । তিনি বলেন গণঅধিকার হরণ এবং রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে চারটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল৷

বাংলাদেশ ২০ কোটি মানুষ বর্তমান সরকারকে ঘৃণা করে। একটি পদ্মা সেতু, ওভার ব্রিজ আর মেট্রো রেল নির্মাণ করে সরকার উন্নয়নের দাবিদার হয়ে গেছেন। কিন্তু বিভিন্ন উপজেলায় গেলে দেখাযায় রাস্তাঘাটের কি উন্নয়ন হয়েছে। বাজারে গেলে সাধারন মানুষ দিশেহারা হয়ে যায়।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই, বাক স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই, মানুষের ভোটের অধিকার নেই। তাহলে দেশের মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকে। সাধারণ মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকে। সরকার যেভাবে একঘুয়ে ভাবে রাস্ট্র পরিচালনা করছে তাতে বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, নাইজেরিয়া বানানোর পায়তারা মাত্র।

অনেকেই লন্ডন কানাড়ায় দ্বিতীয় বাড়ি করে রেখেছেন সেখানে চলে যাবেন তাহলে, এদেশের ২০ কোটি মানুষের কি হবে? দল যখনই ক্ষমতায় এসেছে দুর্নীতি করছে লুটপাট করছে। জনগণের ভোটের অধিকার হারিয়েছে । দিনের ভোট রাতে করে নিয়েছেন। যদি এতোই উন্নয়ন করেছেন তাহলে আগামী নির্বাচন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দেয়ার আহবান জানান টেবিল টকের প্রধান হাসিনা আক্তার।

হাসিনা আক্তার তার বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলো থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য প্রবাসে থাকা বাংলাদেশীরা প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা দেশের জন্য সুসংবাদ হিসেবে দেখছেন সবাই।

তিনি বলেন, মাতৃভূমির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ প্রবাসী বাংলাদেশীদের শিকড় কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। ওই সব দেশে বসবাসকারী দ্বিতীয় প্রজন্ম ভুলতে বসেছিল দেশে থাকা স্বজনদের কথা। কিন্তু করোনা মহামারীতে প্রবাসীদের হূদয়ে মাতৃভূমির প্রতি নতুন করে ভালোবাসার সঞ্চার হয়েছে। অনেকেই দেশে বাড়িঘর নির্মাণে উদ্যোগী হয়েছেন নাগরিকত্ব পাওয়ার পর দেশে থাকা বেশির ভাগ স্বজনকে বিদেশে নিয়ে গেছেন অনেক প্রবাসী।

করোনাভাইরাস আমাদের বাস্তবতা ও মাতৃভূমির গুরুত্ব অনুধাবনের সুযোগ করে দিয়েছে। এজন্যই গ্রামের বাড়িতে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে অনেকই। অনেকে দেশে বাড়িঘর ও ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপে স্থায়ীভাবে বসবাসকারী অসংখ্য বাংলাদেশী।

সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এ কে এম জহিরুল ইসলাম , ডিবিসি নিউজ এর স্পেন প্রতিনিধি বকুল খান , ফখরুদ্দীন রাজী ও সময় টিভি স্পেন প্রতিনিধি সাইফুল আমিন। আলোচনায় অংশ নেন কমিউনিটি নেতা বৃহত্তর ফরিদপুর কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি হেমায়েত খান ,এসোসিয়েশন ভালিয়ান্তে বাংলার সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন , সৈয়দ মাসুদুর রহমান নাসিম , গ্রেটার সিলেট এসোসিয়েশন ইন স্পেনের উপদেষ্টা আবু জাফর রাসেল , বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইন স্পেনের সদস্য আহমেদ আসাদুর রাহমান সাদ, কাজী জসিম ,শহিদুল ইসলাম , জাহিদ হাসান ,সুমন হাওলাদার ,শামিম খান বিপ্লব ,জহির আহমদ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, হাসিনা আক্তার বর্তমান সময়ে যেভাবে মেধা শ্রম ও সাহসিকতার সাথে গতানুগতিক নিয়মের বাহিরে টকশোর মাধ্যামে সত্যকে তুলে ধরেন, তা সত্যিই প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। হাসিনা আক্তারের মেধাবী উপস্থাপনা এবং তার টকশোতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কমিউনিটির ব্যক্তিত্ব রাজনৈতিক নেতা, আর্মি অফিসার পুলিশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন জায়গায় নির্যাতিতরা অনেকেই সমাজের নানান রকম তথ্য তুলে ধরেন। পরে আগত অতিথিরা ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় ও নৈশভোজের মাধ্যমে সভার সমাপ্তি হয়।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক