All Postশিক্ষাঙ্গন

শিথিল হচ্ছে সাত কলেজের সিজিপিএ শর্ত

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের সিজিপিএ শর্তে শিথিলতা আসতে যাচ্ছে। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে আরোপিত এই সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে সকল বর্ষের জন্য এক ও অভিন্ন সিজিপিএ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

আজ (মঙ্গলবার) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হওয়া ঢাবি ও সাত কলেজ প্রশাসনের যৌথ বিশেষ সভায় সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা এই প্রস্তাবনা দেন। যা প্রাথমিকভাবে সকলের আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়েছে।

সভা শেষে বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের ফোকাল পয়েন্ট ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য।

নির্ধারিত জিপিএ বা সিজিপিএ শিথিল করে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের সুযোগ চেয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছিলেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের যুক্তি হলো- একটি বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দেওয়ার পর সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হতে লম্বা সময় লাগে। দীর্ঘ সময় পর একজন শিক্ষার্থী যখন জানতে পারেন তিনি কৃতকার্য হননি, এতে তার লম্বা একটা সময় নষ্ট হয়। এ বিষয়টিকেই সামনে দাঁড় করিয়ে তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়নের সুযোগ চেয়ে আসছিলেন তারা।

সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য বলেন, অধিভুক্ত সাত কলেজের বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এক বর্ষ থেকে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের জন্য সিজিপিএর বিভিন্ন শর্ত ছিল। আজকের মিটিংয়ে সাত কলেজের পক্ষ থেকে সকল বর্ষে অভিন্ন সিজিপিএর প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সেটি হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের সিজিপিএর অনুরূপ।

তবে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই প্রস্তাবনা ইতিবাচকভাবে বিবেচনাধীন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এটি বাস্তবায়ন হবে। একটু অপেক্ষা করতে হবে।

অপরদিকে আরও একটি সূত্রে জানা গেছে, এই প্রস্তাবনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে পাসের পর রেজুলেশন আকারে প্রকাশ করা হবে। একইসাথে সিজিপিএ শর্তে আটকে যাওয়া শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময়ও পাবেন।

এ সর্ম্পকিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button