জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।
রোববার সকাল ৬টা থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। প্রথম দুই ঘণ্টায় এই উড়ালসড়ক দিয়ে পার হয়েছে মোট ৯৪২টি যানবাহন।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর রোববার ভোর থেকেই এই রুট জনসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে।
সকাল থেকেই একে একে টোল প্লাজায় আসতে শুরু করে যানবাহন। নির্ধারিত টোল দিয়ে মাত্র ১০ মিনিটেই কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১১ কিলোমিটারের এই পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে যানবাহনগুলো।
প্রথম যাত্রী হিসেবে এক্সপ্রেসওয়েতে কত টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রীপ্রথম যাত্রী হিসেবে এক্সপ্রেসওয়েতে কত টোল দিলেন প্রধানমন্ত্রী
কর্তৃপক্ষ জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেয়ার প্রথম ২ ঘণ্টায় কুড়িল টোলপ্লাজা দিয়ে ৭২টি, এয়ারপোর্টের টোলপ্লাজা দিয়ে ৫৭৬টি, বনানী-১ দিয়ে ১১৮টি এবং তেজগাঁও টোলপ্লাজা দিয়ে ১৭৬টি যানবাহন পার হয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে আরও যানবাহনের চলাচল বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মূল সড়কে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। ওঠা-নামার র্যাম্পের জন্য সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার।
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচলে যানবাহনকে ৪টি শ্রেণিতে ভাগ করে টোল হার নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাইভেটকার, ট্যাক্সি, জিপ, মাইক্রোবাসসহ হালকা গাড়ির জন্য টোল ৮০ টাকা। মাঝারি ট্রাক ৩২০ টাকা। ৬ চাকার বেশি ট্রাকের জন্য ৪০০ টাকা। সব ধরনের বাসের টোল ১৬০ টাকা। দুর্ঘটনা রোধে এই উড়ালসড়কে ছোট ও কম গতির যানবাহন চলাচল করবে না।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে বাংলাদেশ, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রীএলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের যুগে বাংলাদেশ, উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সরকারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, ২৫ বছরের চুক্তির মধ্যে সাড়ে ২১ বছর টোল আদায় করবে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।
এ প্রকল্পের প্রথম চুক্তি সই করা হয় ২০১১ সালের ১৯ জানুয়ারি। ২০১১ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদি প্রকল্পের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের ১৫ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে সংশোধিত চুক্তি সই করে।
থাইল্যান্ড-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইটালিয়ান থাই ডেভেলপমেন্ট পাবলিক কোম্পানি লিমিটেড ৫১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে প্রকল্পটিতে। তাছাড়া চায়না-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান শোনডং ইন্টারন্যাশনাল ইকোনোমিক গ্র্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেশন গ্রুপ ৩৪ শতাংশ ও সিনোহাইড্রো কর্পোরেশন লিমিটেড ১৫ শতাংশ যৌথ উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে এ প্রকল্পটি।
এই প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিমক ৭৬ কিলোমিটার। আর র্যাম্পসহ মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।