আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ৮৯ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এই জয়ে সুপার ফোরেও জায়গা করে নিয়েছে সাকিবরা।
রোববারের ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ওয়ানডেতে নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৩৪ রানের সংগ্রহ করে সাকিবরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৪৫ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আউট হন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। দ্বিতীয় উইকেটে রহমত শাহকে সঙ্গে নিয়ে ৯৭ বলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান।
তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদিকে সঙ্গে নিয়ে ৫৮ বলে ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান।
ইনিংসের শুরু থেকে দারুণ ব্যাটিং করে যাওয়া জাদরানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। তার বলে মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ক্যাচে সাজঘরে ফেরেন ইব্রাহিম। তার আগে ৭৪ বলে ১০টি চার আর এক ছক্কার সাহায্যে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন।
এরপর নজিবুল্লাহ জাদরানকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৫২ বলে ৬২ রানের জুটি গড়েন হাশমতউল্লাহ শহিদি। একটা পর্যায়ে ৩ উইকেটে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ১৯৩ রান।
পরে মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ২১ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে শেষ পর্যন্ত ৪৪.৩ ওভারে ২৪৫ রানেই অলআউট হয় আফগানিস্তান।
৮৯ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। দলের জয়ে ৮.২ ওভারে ৪টি উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ৩ উইকেটে নেন তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম। একটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নামেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ৪৭ বলে জুটিতে ফিফটি পূরণ করেন এই দু’জন। ১০ ওভারে হয় ৬০ রানের জুটি। নাইম শেখকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন মুজিব উর রহমান। নাইম ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে করেন ২৮ রান।
কম্বিনেশনের কারণে তিনে ব্যাট করতে নেমে শূন্য করে ফিরে যান তাওহীদ হৃদয়।
মিরাজ ও চারে নামা নাজমুল শান্ত দলের হাল ধরেন। তারা দেশের পক্ষে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ ১৯৪ রানের জুটি দিয়েছেন। ওই জুটি ভাঙে মিরাজ ছক্কা মেরে হাতে ব্যথা পাওয়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে। তার ব্যাট থেকে আসে ১১৯ বলে ১১২ রানের ইনিংস। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করার পথে সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা তোলেন এই ডানহাতি ব্যাটার।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি করা নাজমুল শান্ত নামের পাশে ১০৪ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন। তার ১০৫ বলে ৯টি চার ও দুই ছক্কায় সাজানো ইনিংস থামে রান আউটে।
শেষ দিকে মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে এক চার ও এক ছক্কায় ২৫ রানের ইনিংস খেলে রান আউট হন। সাকিবের ব্যাট থেকে ১৮ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৩২ রানের দারুণ এক ইনিংস এসেছে। এছাড়া শামীম পাটোয়ারি ৬ বলে ১১ রান যোগ করেন।
এশিয়া কাপে এখন এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে এনামুল হক বিজয়ের সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩২৬ রান করেছিল বাংলাদেশ দল।
রোনালদোর পথ অনুসরণ করে সৌদির পতাকাতলে দলে দলে সবাইরোনালদোর পথ অনুসরণ করে সৌদির পতাকাতলে দলে দলে সবাই
ওয়ানডে ক্রিকেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ৩৪৯। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ওয়ানডে রান ৩৩৮। ওই রানও চলতি বছর এসেছে আইরিশদের বিপক্ষে। এর আগে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল ৩৩৩। গত বিশ্বকাপে ওই রান এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।