বাংলাদেশকে সুপার ফোরে তুলে পরেরদিন দুঃসংবাদ দিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দারুণ ফর্মে থাকা এই বাঁ-হাতি ব্যাটারের হ্যামস্ট্রিং চোটে এশিয়া কাপ থেমে গেল দুই ম্যাচেই। আগেরদিনে পাকিস্তানে যাওয়া লিটন দাস কীভাবে দলে সুযোগ পাবেন, এ নিয়ে ছিল সংশয়। নাজমুলের চোট লিটনের ১৭ জনের দলে জায়গা পাওয়ার কাজ সহজ করে দেয়। সুপার ফোরের আগে হোঁচট খাওয়া বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আজ স্বাগতিক পাকিস্তান। সূচি অনুযায়ী আগে থেকেই নির্ধারণ ছিল সুপার ফোরে উঠলেই বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ হবে পাকিস্তানের বিপক্ষে। আফগানিস্তানকে হারানোর পর দুদিন সময় পেয়েছে টাইগাররা। আগের ম্যাচের দারুণ পারফরম্যান্সে পাওয়া আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশের বড় শক্তি। ম্যাচ শুরু হবে বিকাল সাড়ে ৩টায়।
লিটনের পাকিস্তানে যাওয়ার খবর বাংলাদেশের সমর্থকদের আনন্দিত করেছিল। নাজমুলের ইনজুরি পরদিন ততটাই হতাশ করেছে। প্রথম ম্যাচে শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮৯, দ্বিতীয় ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৪। ১৯৩ রান নিয়ে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ স্কোরার তিনি। তার শূন্যস্থান পূরণের জন্য টপঅর্ডারে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্টকে। মেহেদী হাসান মিরাজকে হয়তো আজও টপঅর্ডারে ব্যাট করতে দেখা যেতে পারে। আগের ম্যাচে ‘মেক শিফট’ ওপেনার হিসাবে তাকে খেলানো হলেও নিয়মিত উদ্বোধন করতে পাঠাবে না দল। তবে নতুন করে নাজমুলের চোট খুব বেশি ভাবার সুযোগ দিচ্ছে না টিম ম্যানেজমেন্টকে। লিটন খেললে আজ মোহাম্মদ নাঈম শেখের সঙ্গে তাকেই ওপেন করানো হবে।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম রানে ভরা। উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক। কিন্তু একের পর এক ধাক্কায় ব্যাটিং লাইনআপ স্থির রাখতে পারছে না টিম ম্যানেজমেন্ট। ওলটপালট করে সাজাতে হচ্ছে নিয়মিত। বাংলাদেশের জন্য হুমকি পাকিস্তানরে বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। দুই ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ছয় উইকেট। পাঁচ উইকেট রয়েছে আরেক পেসার হারিস রউফের। এছাড়া ব্যাটিংয়ে ১৫১ রান নিয়ে এশিয়া কাপে দ্বিতীয় স্থানে থাকা পাকিস্তানের ব্যাটিং স্তম্ভ অধিনায়ক বাবর আজমও মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন।
বাংলাদেশের বোলিং বিভাগ, বিশেষ করে পেস আক্রমণ শেষ ম্যাচে একটা ইউনিট হিসাবে খেলেছে। বাবর আজমকে দ্রুত ফেরানোর সঙ্গে টপঅর্ডার চুরমার করে দেওয়াই লক্ষ্য থাকবে তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলামদের। ২০০৯ সালের ৩ মার্চ লাহোর টেস্টের তৃতীয়দিনে শ্রীলংকা দলের বাসে বন্দুকধারীদের অতর্কিত হামলা পাকিস্তানের ক্রিকেট থমকে দিয়েছিল। দীর্ঘদিন পর সেখানে আবার ক্রিকেট ফিরেছে। কিন্তু এখনো চাইলেই ক্রিকেটাররা হোটেল ও স্টেডিয়ামের বাইরে যেতে পারেন না।
পাকিস্তানে ক্রিকেট বন্ধ হওয়ার আগে ২০০৮ সালে শেষবার সেখানে এশিয়া কাপের ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। সেই দলে ছিলেন সাকিব। তিনি এখন দলের অধিনায়ক। আফগানদের বিপক্ষে অনেক ঘটনার সাক্ষী হয়ে গাদ্দাফিতে বিশাল এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার পাকিস্তানকে হারিয়ে স্মৃতিটা আরও মধুর করে নিয়ে শ্রীলংকায় ফিরতে চায় টাইগাররা।