আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
বর্তমান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আগামী ২৫ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন। সুপ্রিম কোর্ট অবকাশকালীন ছুটিতে থাকায় গত ৩১ আগস্ট ছিলো তার শেষ কর্মদিবস।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ওমরাহ পালনের জন্য ১১ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের বাইরে থাকায় সোমবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পান ওবায়দুল হাসান। একদিন পরেই তাকে পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি।
শপথ নেওয়ার দিন থেকে ওবায়দুল হাসানের নিয়োগ কার্যকর হবে।
সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। তাকে শপথও পড়াবেন রাষ্ট্রপ্রধান।
আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৬ সালে আইনজীবী হিসেবে জেলা বারের সনদ পান।
১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
তিনি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে ২০০৯ সালের ৩০ জুন যোগ দেন ওবায়দুল হাসান। ২০১১ সালের ৬ জুন একই বিভাগে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংগঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর একজন সদস্য হিসেবে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ যোগদান করেন এবং ১৩ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে ওই ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।
২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল হাসান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ কর্মরত থাকাকালীন ১১টি মামলার রায় দিয়েছেন তিনি। ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান ওবায়দুল হাসান।
ওবায়দুল হাসান ‘অবর্ণনীয় নির্মমতার চিত্রঃ একাত্তরের বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড ও অন্যান্য’এবং ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশঃ একজন যুদ্ধশিশুর গল্প ও অন্যান্য’ নামক দু’টি গ্রন্থ রচনা করেছেন।