কেউ যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভুলুণ্ঠিত করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, ১৯৭৫ এর পর লেখক, কবি, শিল্পীরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রেখেছিলেন। এ কারণেই রাজনীতিবিদরা গণতন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে লড়তে পেরেছেন।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে স্বাধীনতা প্রদকপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন শিল্পী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ‘১৯৭৩-২০২৩ এ রেট্রোস্পেক্টিভ’ শীর্ষক নির্বাচিত চিত্রকর্মের বিশেষ প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পীর আঁকা ছবি হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করা যায়, আবার সঙ্গে সঙ্গে দেশপ্রেম উদ্বুদ্ধ হওয়া যায়; একটা চেতনা জাগ্রত হয়। আর আমাদের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই চেতনায় বাংলাদেশের জনগণ জাগ্রত হবে, দেশকে মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে গড়ে তুলবে।
সরকারপ্রধান বলেন, শিল্পের তুলির আঁচড় অনেক শক্তিশালী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সবই তো মুছে দিয়েছিল।
তিনি বলেন, আমাদের কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক তারাই তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে সেই চেতনাকে ধরে রেখেছিলেন বলেই কিন্তু আমরা রাজনীতিবিদরা রাজনীতির মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছি, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে গড়ে তোলার পদক্ষেপ নিয়েছি, আজ আমাদের তরুণ সমাজের মধ্যে সেই চেতনা আবার ফিরে আসতে শুরু করেছে, এটাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় পাওয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন।












The Custom Facebook Feed plugin