শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর তাড়া করতে গিয়ে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ভারত। ৫১ রানে লক্ষে ছয় দশমিক এক ওভারেই জয় তুলে নেয় রোহিত বাহিনী। এই জয়ের মধ্যে দিয়ে অষ্টমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতলো ভারত।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ভারত। শুবমান গিল ও ঈশান কিষাণের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ৩৭ বল খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভারত। ঈশান অপরাজিত ছিলেন ১৮ বলে ২৩ রান করে। আর গিল ২৭ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ।
শ্রীলঙ্কার হতশ্রী ব্যাটিং, ভারতের লক্ষ্য ৫১
এশিয়া কাপের ফাইনালে শুরু থেকে ধুঁকতে থাকা শ্রীলঙ্কার আর খাদের কিনারা থেকে উঠতে পারেনি। মাত্র ১৫ দশমিক দুই ওভারেই গুটিয়ে গেছে তাদের ইনিংস। ততক্ষণে তাদের খাতা যোগ হয়েছে মাত্র ৫০ রান। অর্থাৎ জিততে হলে ভারতে করতে হবে ৫১ রান।
এদিন লঙ্কানদের লণ্ডভণ্ড করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকার রেখেছেন মোহাম্মদ সিরাজ। সাত ওভারে ২১ রান দিয়ে নিয়েছেন ছয় উইকেট।
শুধু সিরাজই নন, বল হাতে নিয়েই তাণ্ডব চালিয়েছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া। দুই দশমিক দুই ওভার বল করে তিনি তুলে নিয়েছেন তিনটি উইকেট। আর একটি উইকেট নিয়েছে বুমরাহ।
লঙ্কান ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন কুশল মেন্ডিস (১৭)। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেছেন দুশন হেমন্ত (১৩)। চার জন ব্যাটার রানের খাতা খুলতে পারেননি।
চার রানে আরও পাঁচ উইকেট হারালো শ্রীলঙ্কা
প্রেমাদাসায় মহাবিপদে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। হতশ্রী ব্যাটিং এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে ১২ রান করতেই তাদের প্রথম সারির পাঁচ জন ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে একটি এবং তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে হারায় আর একটি উইকেট।
কিন্তু এরপর যা ঘটলো তাতে স্তম্ভিত হয়ে গেছে প্রেমাদাসায় শ্রীলঙ্কান ভক্তরা। দলীয় আট রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তিন দশমিক তিন বলে সামারাভিরা, এর পরের বলে আশালঙ্কা এবং ওই ওভারের শেষ বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে তিনটি উইকেট খোয়া গেলেও শ্রীলঙ্কা তাদের খাতায় একটি রানও যোগ করতে পারেনি। আর ধনঞ্জয়া একটি বাউন্ডারি হাঁকানোর পরই ফেরেন সাজঘরে।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের যিনি দুমড়েমুচড়ে দিয়েছেন তিনি হলেন মোহাম্মদ সিরাজ। মাত্র দুই ওভার বল করেই এই পেসার তুলে নিয়েছেন চারটি উইকেট।
প্রেমাদাসায় মহাবিপদে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। হতশ্রী ব্যাটিং এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে ১২ রান করতেই তাদের প্রথম সারির ছয় জন ব্যাটার সাজঘরে ফিরেছেন। তাদের মধ্যে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে একটি এবং তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে হারায় আর একটি উইকেট।
কিন্তু এরপর যা ঘটলো তাতে স্তম্ভিত হয়ে গেছে প্রেমাদাসায় শ্রীলঙ্কান ভক্তরা। দলীয় আট রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর তিন দশমিক তিন বলে সামারাভিরা, এর পরের বলে আশালঙ্কা এবং ওই ওভারের শেষ বলে ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে হারায় শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে তিনটি উইকেট খোয়া গেলেও শ্রীলঙ্কা তাদের খাতায় একটি রানও যোগ করতে পারেনি। আর ধনঞ্জয়া একটি বাউন্ডারি হাঁকানোর পরই ফেরেন সাজঘরে।
এর ঠিক এক ওভার পর দাসুন সাকানা বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন।
শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের যিনি দুমড়েমুচড়ে দিয়েছেন তিনি হলেন মোহাম্মদ সিরাজ। মাত্র তিন ওভার বল করেই এই পেসার তুলে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছয় ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ১৩ রান।
শ্রীলঙ্কা শিবিরে বুমরাহর পর এবার সিরাজের আঘাত
এশিয়া কাপের ফাইনালে শুরুতেই শ্রীলঙ্কার হতশ্রী ব্যাটিং। কুশল প্যারেরার বিদায়ের পর সাজঘরে ফিরলেন আরেক ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা।
তিন দশমিক এক ওভারে সিরাজের করা অফ স্ট্যাম্পের বাইরের একটি ডেলিভারি আলতো করে খেলতে গিয়ে জাদেজার হাতে ধরা পড়েন নিসাঙ্কা। চার বল খেলে তিনি করেছেন দুই রান।
তৃতীয় বলেই উইকেট খোয়ালো শ্রীলঙ্কা
ফাইনালে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হলো না। বৃষ্টি কারণে দেরিতে ম্যাচ শুরু হওয়ার পর প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা।
যশপ্রীত বুমরাহের মিডিলে পড়া একটি ডেলিভারি সুইং করে বের হয়ে যাওয়ার সময় তাতে খোঁচা দেন কুশল প্যারেরা। আর সহজেই তা তালুবন্দি হয়ে লোকেশ রাহুলের। ফলে রানের খাতা না খুলতে সাজঘরে ফেরেন প্যারেরা।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দুই দশমিক তিন ওভারে এক উইকেট হারিয়ে আট রান। ব্যাট করছেন নিসাঙ্কা (২) ও কুশল ম্যান্ডিস (৫)।
এশিয়া কাপের ফাইনালে টস জিতে ব্যাটে শ্রীলঙ্কা
এশিয়া কাপের শিরোপার লড়াইয়ে ভারতের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টি কারণে মাঠে বল গড়ায় বিকেল চারটা ১০ মিনিটে।
ফাইনাল ম্যাচের আগে দল থেকে ছিটকে গেছেন অক্ষর প্যাটেল এবং মহেশ থিকশানা। ভারতীয় দলে অক্ষরের জায়গায় ডাক পেয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। অন্যদিকে, লঙ্কান একাদশে আছে দুই পরিবর্তন। মহেশ থিকসানা ও কাসুন রাজিথার বদলে জায়গা পেয়েছেন প্রমোদ মাদুশান এবং দুশান হেমন্থ।
ভারতের একাদশ : শুভমান গিল, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, ঈশান কিষাণ, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, ওয়াশিংটন সুন্দর, কুলদীপ যাদব, জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।
শ্রীলঙ্কার একাদশ : পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথ আসালাঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), দুনিথ ভেল্লালাগে, প্রমোদ মাদুশান, দুশান হেমন্থ ও মাথিশা পাথিরানা।