মার্কিন ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে বাংলাদেশ অভিবাসী দিবস এবং ট্রেড ফেয়ারের শেষ দিনে একথা বলেন তিনি। জানান, বাংলাদেশ থেকে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং আইসিটি পণ্য আমদানি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আয়োজনে নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে অনুষ্ঠিত হওয়া দুই দিনের বাংলাদেশ ইমিগ্রেন্ট ডে এবং ট্রেড ফেয়ারের শেষ দিন ২৩ সেপ্টেম্বর।
দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফার্মাসিউটিক্যাল এবং আইসিটি পণ্য আমদানি করার বিষয়টি উঠে আসে।
বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এটা আরও বাড়ছে। দিনদিন দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হচ্ছে, রাজনৈতিক কারণে ব্যবসায়িক সম্পর্কে প্রভাব পড়বেনা বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, এসব আমরা ওভারকাম করবো। তবে ব্যবসার যে দিগন্ত খুলে যাচ্ছে, আমি মনে করি এ ধরনের উদ্যোগ ভালো হবে। রাজনৈতিক কারণে এ পথ বন্ধ হবে না। আমরা বিনিয়োগ বাড়াতে পারবো।
যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর কথা জানালেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের কি ধরনের সুযোগ আছে সেগুলো নিয়া আমরা কথা বলছি। আরেকটি কাজ করবো আমরা, আগামীকাল রেমিটেন্স ফেয়ার করবো। কানেকটিভিটির দৃষ্টিতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই আয়োজনের মাধ্যমে দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক শক্ত হলো। কীভাবে বাংলাদেশ হতে রপ্তানি বাড়ানো যায় তা নিয়ে কাজ করা এখন সহজ হবে বলছেন আয়োজকেরা।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ধরে রাখতে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে, মনে করছেন আয়োজকরা।