সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলান।
সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দায়ের করা হয়। পাশাপাশি আদিলুর ও নাসিরের জামিন চেয়ে আবেদন দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তাদের আইনজীবী মো. আহসানুজ্জামান ফাহিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এক দশক আগের ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) ৫৭ ধারার মামলায় ১৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসিরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে তাদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। রায়ের পর আদিলুর ও নাসিরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে অসত্য–বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগে আদিলুর ও নাসিরের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এ মামলায় আদিলুর ২০১৩ সালের ১০ আগস্ট গ্রেফতার হন। পরে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। ১১ আগস্ট আদালতের অনুমতি নিয়ে অধিকারের কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে দুটি কম্পিউটার ও দুটি ল্যাপটপ জব্দ করা হয়। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্যসংবলিত প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেন, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেন।
মামলায় আইসিটি আইনের ৫৭ (২) ধারায় ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
আদিলুরের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূইয়া বলেন, ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর গত মে মাসে ৩৪২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন মামলাটি অধিকতর তদন্ত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের এ আবেদনের বিরোধিতা করা হয়। তবে আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। গত ২৪ আগস্ট এ মামলায় যুক্তিতর্কের শুনানি শেষ হয়। ১৪ সেপ্টেম্বর এ মামলায় রায় ঘোষণা করেন আদালত।