সরকারে স্বল্পমেয়াদী অর্থায়নের বিষয়ে হাউজ অব কমনস ও সিনেটের মধ্যে সমঝোতা হওয়ায় সরকার অচল (শাটডাউন) হওয়া থেকে বেঁচে গেলো যুক্তরাষ্ট্র। এ চুক্তি না হলে দেশটির লাখো সরকারি কর্মচারীকে বিনাবেতনে ছুটিতে পাঠাতে হতো।
বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারকে অর্থায়নের সরকার ও বিরোধী দলের আইন-প্রণেতারা আগামী ৪৫ দিনের জন্য অস্থায়ী বাজেট বা স্টপগ্যাপ বিল মঞ্জুর করেছে। বিলটি পাস না হলে যুক্তরাষ্ট্র শাটডাউনের মুখে পড়ার আশঙ্কা ছিল। এতে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এজেন্সিগুলো আংশিকভাবে বন্ধ হয়ে যেতো। ৪০ লাখ কেন্দ্রীয় কর্মীর বেতন-ভাতা পরিশোধ বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা ছিল। চুক্তি হওয়ায় এত বড় সংকট থেকে বেঁচে গেছে বাইডেন প্রশাসন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কংগ্রেসের হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাককার্থি আগামী ৪৫ দিনের সরকারি ব্যয় মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করতে একটি স্টপগ্যাপ বিল উত্থাপন করে। স্টপগ্যাপ ফান্ডিং বিল নামে বিলটি ৮৮-৯ ভোটে পাস হয় সিনেটে। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসেও দ্বিপক্ষীয় সমর্থনে পাস হয় বিলটি।
সিনেটে ও নিম্নকক্ষ হাউস অব কমনসে পাস হওয়ায় বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার অপেক্ষা শুধু মার্কিন প্রেসিডেন্টের অনুমোদন। দ্যা গার্ডিয়ান বলছে, ডেমোক্র্যাটদের প্রস্তাব হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল অনুমোদনে আপত্তি করবেন না।
বিলটি পাসের পর সিনেটের ডেমোক্র্যাট দলের নেতা চাক শুমার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দিনটি আমাদের জন্য ছিল জটিল। প্রতি মুহূর্তে এদিনের রং পাল্টেছে। তারপরও মার্কিন জনগণের স্বস্তির নিশ্বাস ফেলার একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। আপাতত সরকারি কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে না। আমাদের দ্বিপক্ষীয় মতৈক্য এটিকে সম্ভব করেছে। এটি দেখিয়েছে কীভাবে প্রয়োজনের সময় এক হয়ে কাজ করতে হয়।
তার আগে অবশ্য নতুন অর্থায়ন বিল নিয়ে একদল কট্টর রিপাবলিকান সদস্য আপত্তি তোলে। এতে অচল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছিল বাইডেন প্রশাসন। চুক্তি না হলে রোববার (১ অক্টোবর) অচল হয়ে পড়তো মার্কিন সরকারের একটি বড় অংশ। বিলটি পাসের প্রস্তাবে রিপাবলিকানদের চেয়ে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন বেশি ছিল।
শঙ্কাটি দেখা দেয় মূলত কট্টর ডানপন্থী রিপাবলিকানরা সরকারের ব্যয় কমানোর দাবিতে অনড় থাকায়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে আইনপ্রণেতাদের একটি বড় অংশ সরকার অচল হওয়া এড়ানোর পক্ষে ভোট দেন। তারা অবশ্য বড় একটি শর্তও দেন। ‘ইউক্রেনের পেছনে আর কোনো অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা যাবে না’ এই শর্ত মেনে নেওয়ায় শাটডাউনের মুখ থেকে বেঁচে যায় যুক্তরাষ্ট্র।