রাজধানীর মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন লাগায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) কোম্পানিগুলো জানিয়েছে, ওই ভবনে দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ডেটা সেন্টার রয়েছে। আগুন লাগার কারণে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ইন্টারনেট পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবির সভাপতি এমদাদুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের কয়েকটি ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইডথ আসতো খাজা টাওয়ারের দুই ডেটা সেন্টার থেকে। এই ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার প্রায় ৭০ শতাংশ দিয়ে থাকে। যেহেতু ডেটা সেন্টারগুলো বন্ধ হয়েছে, তাই ইন্টারনেট সেবায় বিঘ্ন হচ্ছে ‘
এদিকে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই আগুনের ঘটনায় তাদের নেটওয়ার্ক থেকে অন্য অপারেটরে ভয়েস কল যেতে অসুবিধা হতে পারে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তারা সমস্যার সমাধানে কাজ করছে।
এদিকে আরেক অপারেটর রবি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কারিগরি কারণে তাদের কিছু গ্রাহক রবি থেকে অন্য অপারেটরের নম্বরে বা অন্য অপারেটর থেকে রবিতে কল করার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারেন। দ্রুততম সময়ে এ সমস্যার সমাধানে তারা চেষ্টা করছে।
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুনমহাখালীর খাজা টাওয়ারে আগুন
বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাখালীর আমতলী এলাকার খাজা টাওয়ারে আগুন লাগে। ভবনটির ১১, ১২ ও ১৩ তলা থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ১০ তলা থেকে ওপর পর্যন্ত ভবনের কাচের দেয়াল ভেঙে আগুন নেভানোর কাজ করছেন।
এই ঘটনায় এক লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েকজন।
আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরাও তাদের সহযোগিতা করছেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে। এদিকে উদ্ধার কাজে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি যোগ দিয়েছে।