রাজধানীর আরামবাগের নটরডেম কলেজের সামনের জড়ো হয়েছে হাজার হাজার জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে তারা শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ তাদের নটরডেম কলেজ ফুটওভার ব্রিজের সামনে আটকে দেয়।
জামায়াতের অবস্থান নিয়ে মতিঝিলে কথা বলেছেন পুলিশের সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তারপরও সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স।
এ সময় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা মিছিল শোডাউন করে। আরামবাগে পুলিশ ব্যারিকেড দিলে তা সরিয়ে শাপলা চত্বরের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। তবে ফের ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। ফলে সেখানেই স্লোগান ও মিছিল করছে জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি রাজধানীর নয়াপল্টনে, আওয়ামী লীগ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এবং জামায়াতে ইসলামী শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের কর্মসূচি দেয়।
গতকাল রাতে ডিএমপি আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে নিজ নিজ জায়গায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু জামায়াতের বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলেনি।
এক বিবৃতিতে জামায়াত জানিয়েছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা, দলের আমিরসহ নেতাকর্মী এবং আলেমদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এই মহাসমাবেশ কর্মসূচি দেওয়া হয়। যদিও ২৮ অক্টোবর জামায়াতের মহাসমাবেশ ডাকার আরেকটি উপলক্ষ্য আছে।
সেটি হলো, ২০০৬ সালে চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা।
জামায়াতের দাবি, সেদিন ‘লগি-বইঠার’ হামলায় তাদের ১৪ জন নেতাকর্মী নিহত হন এবং সহস্রাধিক নেতাকর্মী আহত হন। নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে জামায়াত প্রতিবছর ২৮ অক্টোবর স্মরণসভা করে। এবার দলটি ওই দিনে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।