টানা তিনদিনের অবরোধের পর দু’দিন বিরতি দিয়ে আগামী ৫ ও ৬ নভেম্বর আবারও অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা অন্য বিরোধী দলগুলো।
বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তাদের এই কর্মসূচি কথা জানান। এর আগে সরকার পতন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে একই কর্মসূচির ঘোষণা দেয় এলডিপি এবং গণতন্ত্র মঞ্চ।
রিজভী জানান, রোববার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারা দেশে ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
রোববার থেকে আবার অবরোধরোববার থেকে আবার অবরোধ
মহাসচিবসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে তিনদিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতও একই দিনে অবরোধ ঘোষণা করে।
বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা এলডিপি ও গণমন্ত্র মঞ্চও চলমান এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে।
রুহুল কবির রিজভী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ক্ষমতায় থাকতে দেশে শান্তি, সহাবস্থান দূরে ঠেলে গোটা জাতিকে বিভাজিত করেছে সরকার। আজ সংলাপের চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দলের সিনিয়র নেতাদের কারাগারে পাঠিয়ে কিসের সংলাপের কথা বলছে? নয়াপল্টন পার্টি অফিস পাঁচদিন তালাবদ্ধ। নেতাকর্মীরা শঙ্কায় দিন পার করছে। বিএনপি মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতাদের কারাগারে পাঠিয়ে এখন সংলাপের নামে তামাশা, ঠাট্টা করছে নির্বাচন কমিশন। সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়ন করছে কমিশন।
তিনি জানান, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশ, পরবরর্তীতে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার দেশব্যাপী জুমার নামাজের দোয়া ও মোনাজাত করা হবে।
বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণার পর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত দল জামায়েতে ইসলামী আলাদাভাবে অবরোধ কর্মসূচিও ঘোষণা দেয়।