প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ চায় দেশে গণতন্ত্র থাকুক এবং রাজনৈতিক দলগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করুক। তবে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগ সেই রাজনীতি করার সুযোগ পায়নি। সারাদেশে দলের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বিএনপি।
অতীতের মতো মনোনয়নের ব্যবসা করতে হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কার কত দম সেটাও দেখতে চায় আওয়ামী লীগ।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলটির সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভার সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য রাজনৈতিকভাবে না পারলেও এখন অর্থনৈতিকভাবে অপচেষ্টা করে যাচ্ছে বিদেশি কিছু কিছু মোড়ল৷ দুমুখো কিছু মোড়ল বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা নষ্টের ষড়যন্ত্র করছে৷
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মানেই শান্তি ও সমৃদ্ধি৷ নিশ্চয়ই দেশবাসী এসব বাস্তবতা মাথায় রেখেই ভোট দেবেন৷ বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশকে খুবলে খাবে, নিজেদের ভাগ্য গড়বে৷
তিনি বলেন, সন্ত্রাসী দল বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনগণকেই রুখে দাঁড়াতে হবে৷ তবে নিজেরা আইন হাতে তুলে নেবেন না৷ জনগণ ধরা শুরু করলে, ওই মুষ্টিমেয়রা ঠাঁই পাবে না৷
নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মতো আস্থা-বিশ্বাস বিএনপির নেই মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা কি একটাও নেতা দেশে পেল না, যাকে তাদের প্রধান বানাবে৷
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বলবো, ঠিক আছে, আর কিছু না হোক, দল যখন আছে, নমিনেশন বিক্রি করা, এটাও তো একটা ব্যবসা তাদের। এর আগে সেই ব্যবসাই তারা করেছে। হয়তো সেই ব্যবসা করতে পারে। সেজন্য নির্বাচনে আসুক, আমি সেই আহ্বান জানাই।
‘নির্বাচনে আসা, কার কত দৌড় আমরা সেটা দেখি। জনগণ কাকে চাই, সেটা আমরা যাচাই করে দেখি,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোট হবে ৭ জানুয়ারি।
তবে ভোটের তফসিল প্রত্যাখ্যান করে হরতাল, অবরোধে সহিংস কর্মসূচিতে রয়েছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। নির্বাচন ঠেকানোরও ঘোষণা দিয়েছে দলটির নেতারা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি জানি না, বিএনপি কি বাংলাদেশে একটা নেতা পেলো না! যাকে তাদের দলের চেয়ারম্যান করতে পারে। সাজাপ্রাপ্ত আসামি তারেকের বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে। খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় কানাডার পুলিশ এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে।
‘তো যারা এরকম দুর্নীতিবাজ, একুশে আগস্টের মতো গ্রেনেড হামলা ঘটাতে পারে, তাদের নেতৃত্বে যে দল কোন বিশ্বাসে তারা নির্বাচনে আসবে!’
‘তারপরও’ বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ প্রধান। তবে নির্বাচন প্রতিহতের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না বলে সতর্ক করে দেন প্রধানমন্ত্রী।