All Postরাজনীতি

নির্বাচন বাধাগ্রস্তকারী বিএনপির ওপর নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি প্রকাশ্যে নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব বিষয়ে এখনও নিশ্চুপ ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আসা উচিত।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী জোটের সঙ্গে আসন বন্টনের বিষয় পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে হবে। তবে শরিক হলেই আসন ছাড় দেয়া হবে না, প্রার্থী বিজয়ী হতে পারবে কিনা সেটা বিবেচনা করা হবে।

বুধবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা হরতাল, অবরোধ করছে, প্রকাশ্যে হামলা করে পুলিশ হত্যা করছে। তারা নির্বাচনকে বাধা দিচ্ছে, গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করছে, বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছে। নির্বাচনকে যারা বাধাগ্রস্ত করছে তাদের ওপরই নিষেধাজ্ঞা আসার কথা। সবই প্রকাশ্যে হচ্ছে, অথচ তাদের ব্যাপারে কথা নেই।

তিনি বলেন, যারা মানবাধিকার, নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা বলে, তারা এখন নিশ্চুপ কেন? এসব কর্মকাণ্ড নির্বাচন বিরোধী তৎপরতা হিসেবে চিহ্নিত। এখন ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র, দেশর সুশীল সমাজ সবাই চুপ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেরাই নির্বাচনের বাইরে গেছে। তাদের কেউ নির্বাচন থেকে দূরে রাখেনি। গতকাল পর্যন্তও তাদের নির্বাচনে আসার জন্য আহবান করা হয়েছে।

এদিকে নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ভোট আগামী সাত জানুয়ারি। ২০ থেকে ২৫টি দল নির্বাচনে আসার কথা জানালেও বিএনপির ব্যাপারে এখনও কিছু নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ইসি জানিয়েছে, বিএনপি যদি ভোটে আসে, তাহলেও সংবিধান অনযায়ী ২৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন করতে হবে।

এ ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের একটা সময়সীমা আছে। সময়সীমা অতিক্রম করে আওয়ামী লীগ তফসিল পরিবর্তন সমর্থন করবে না।

ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

এর আগে মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফ্রি স্টাইল হবে না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাতে সময় আছে। এর মধ্যে জোটের আসন সমন্বয় করা হবে। নৌকার প্রার্থী থাকলেও জোট বা শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হলে, সমন্বয় করে আসন ছেড়ে দেয়া হবে।

২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত হওয়া ১৪ দলীয় জোট। এই জোটে রয়েছে- জাসদ (ইনু), সাম্যবাদী দল, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি, গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, গণআজাদী লীগ, কমিউনিস্ট কেন্দ্র, বাসদ, তরিকত ফেডারেশন এবং জেপি।

এ সর্ম্পকিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button