সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি দশম দফার অবরোধ ঘোষণা করেছে।
একদিন বিরতি দিয়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত অবরোধ দিয়েছে বিএনপি।
একইসঙ্গে রোববার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারাদেশের জেলা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। ওইদিন ঢাকায় আওয়ামী লীগের সমাবেশ করার কথা রয়েছে।
সোমবার বিকেলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা নবম দফার দ্বিতীয় দিনের অবরোধ কর্মসূচি চলছে। যা শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়। নবম দফার চলমান এ অবরোধ শুরুর আগে ও অবরোধের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ৯ দফায় বিএনপির অবরোধ-হরতাল কর্মসূচিতে মঙ্গলবার বিরতি রাখা হচ্ছে। এর বাইরে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কর্মসূচি থাকে না।
সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবিতে হরতাল-অবরোধ অব্যঅহত রেখেছে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমমনা দলগুলো। তাদের দাবি, ‘একতরফা’ নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। নির্বাচনী তৎপরতায় যুক্ত হওয়ায় কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কারও করেছে দলটি।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হবার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
একই দাবিতে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিলো বিএনপি। ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে সেই নির্বাচনে জিতে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ।
বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বৃহস্পতিবারবিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল বৃহস্পতিবার
২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি গণফোরামের ড. কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে ভোটে অংশ নেয়। ভোটে ভরাডুবি ঘটে বিএনপির। এরপর কারচুপির অভিযোগ তোলে তারা। সংসদের মেয়াদের শেষ দিকে এসে বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করেন।
এবার ২০১৪ সালের মত একই দাবিতে আন্দোলন করছে বিএনপি। ফিরে এসেছে সংঘাতের পরিবেশ। যানবাহনে অগ্নিংযোগ আর নাশকতার ঘটনায় জনমনে উদ্বেগ বাড়ছে। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে রোজই অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।