আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সেনা মোতায়নে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে সেনাবাহিনী।
রোববার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনা মোতায়নের অনুরোধ জানালে রাষ্ট্রপতি এতে সম্মতি দেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সেনা মোতায়নের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।
নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সেনা মোতায়নে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সম্মতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সাথে সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে সেনা মোতায়নের তারিখ ও সময় জানানো হবে।
সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারেরবৈঠক শেষে সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছেন। তবে সেনাবাহিনী কতদিন মাঠে থাকবে, সেটি পরে জানানো হবে বলে উল্লেখ করেন ইসি সচিব।
এর আগে, বেলা ১১টায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এসময় সিইসির সঙ্গে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের সাত জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছিল ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে বলে জানায় ইসি।