বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নয় মামলার জামিন আবেদন গ্রহণ করে আইনানুযায়ী তা নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহের বেঞ্চ।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানায় ফখরুলের বিরুদ্ধে এই ৯ মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে পল্টন থানায় ছয়টি ও রমনা থানায় তিনটি।
বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে ব্যাপক সহিংসতা, প্রকাশ্যে পুলিশ সদস্য পিটিয়ে হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করা হয়। এর পরের দিন ২৯ অক্টোবর সকালে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আটকের দিন রাতেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের ঘটনায় রমনা থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফখরুলকে আদালতে তোলা হয়।
তার সিএমএম ও জজ আদালতে বিএনপি মহাসচিবের জামিন আবেদন মঞ্জুর হয়নি। হাই কোর্টে আবেদন করলে জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি অপেক্ষায় থাকে।
এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিওন।
আইনজীবী সগীর হোসেন জানান, সিএমএম আদালতে ১০ মামলায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন চেয়ে রিট আবেদন করা হয়। কিন্তু আদালত আবেদনগুলো গ্রহণ করেননি। এ কারণে জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্ট রিট করা হয়েছিলো।
‘এর মধ্যে এক মামলায় আজকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাই বাকি নয় মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন আবেদন আইন অনুসারে গ্রহণ করে নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।’