বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৭ জানুয়ারির আসন ভাগ-বাটোয়ারার ‘আমি-ডামির’ ভোট প্রহসন জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার ডামি নির্বাচন কমিশন। এখন তারা ভোটারদের হুমকি-ধমকি দিতে শুরু করেছেন। একদিকে নৌকার প্রার্থী ও তাদের প্রচারকরা হুমকি দিচ্ছেন ভোটকেন্দ্রে না গেলে বাড়িছাড়া করা হবে।
অপরদিকে নির্বাচন কমিশনাররা জেল-জরিমানার হুমকি দিচ্ছেন। কেন্দ্রে ভোট দিতে না গেলে গায়েবি মামলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখাতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় উপকারভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট ভাতার কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে, যা ভোট প্রদানসাপেক্ষে ফেরত দেওয়া হবে। তবে এই একদলীয় ভোট জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। যত ভয়ভীতি দেখানো হোক না কেন ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার পাবেন না। এ ফলাফল ঘোষণার নির্বাচনের বিরুদ্ধে সারাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ।
সোমবার বিকালে ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমানকে উদ্দেশ করে বলেন, গত ১৫ বছর জনগণ ভোট দিতে পারেনি, তার প্রতিকারে কি কোনো আইন করেছেন? যারা ১৫ বছর ভোট দিতে দেয়নি তাদের কত বছর জেল দেবেন সেই ঘোষণা জনগণ শুনতে চায়। যারা মৃত মানুষের ভোট দিয়েছে, ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩ ভোট দিয়েছে তাদের কত বছরের জেল দিয়েছেন?
নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনাদের নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে জনগণের মৌলিক অধিকারের দাবিতে লিফলেট বিতরণকালে শত শত নেতাকর্মীকে আটক করে নির্যাতন করছে পুলিশ।
রিজভী বলেন, গণতান্ত্রিক বিশ্বের চোখে ধুলো দিতে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখানোর জন্য অসহায় ভোটারদের বাধ্য করতে এক অভিনব অমানবিক নির্যাতনের পন্থা প্রয়োগ করছে ভোট ডাকাত সরকার। গণভবনের নির্দেশেই সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় দুই কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ এবং অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। উপকারভোগী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট কার্ড জমা নেওয়া হচ্ছে; যা ভোট প্রদানসাপেক্ষে ফেরত দেওয়া হবে। ভোট কেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।