পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ জানুয়ারি শুরু হতে যাওয়া সিডনি টেস্টের পর টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায়ের ঘোষণা আগেই দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এবার ওয়ানডে ক্রিকেটকেও বিদায়ের সময় জানিয়ে দিলেন এই অজি ব্যাটার।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকে অবসর নেবেন ওয়ার্নার। বছরের প্রথম দিনেই এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দিয়েছেন ৩৭ বছর বয়সি এই তারকা ক্রিকেটার।
এদিন সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়ার্নার বলেন, আমি নিশ্চিতভাবেই ওয়ানডে ক্রিকেট থেকেও অবসর নিচ্ছি। এটা এমন একটি সিদ্ধান্ত ছিল যা আমি বিশ্বকাপের মধ্যেই বলেছিলাম, এমন সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়েই বিশ্বকাপ খেলেছি। ভারতে এটি (বিশ্বকাপ) জেতা, আমি মনে করি এটি একটি বিশাল অর্জন।
ওয়ার্নার বলেন, আমি আজ সেই সিদ্ধান্ত নেব, সেই ফরম্যাটগুলো থেকে অবসর নেওয়ার, যা আমাকে বিশ্বের আরও কিছু লিগ খেলতে সুযোগ করে দেয় এবং ওয়ানডে দলকেও ভালো কিছুর দিকে এগিয়ে যেতে দেয়। আমি জানি সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আসছে। যদি আমি দুই বছরের মধ্যে ভালো ক্রিকেট খেলি এবং তাদের (দলের) প্রয়োজন হয়, আমি দলের জন্য সহজলভ্য থাকব।
আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হলেন ওয়ার্নার। এখন পর্যন্ত ১৬১ ওয়ানডেতে ৪৫.৩০ গড়ে এই বাঁহাতি ব্যাটার রান করেছেন ৬ হাজার ৯৩২। এর মধ্যে ২২টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি হাঁকানোর রেকর্ডটি সাবেক ক্রিকেটার রিকি পন্টিংয়ের। তিনি ২৯টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। শতক হাঁকানোর দিক থেকে এর পরেই ওয়ার্নারের অবস্থান।
তবে ওয়ানডেকে বিদায় বললেও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ওয়ার্নার। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোতে নিজেকে সরব রাখতে চান এই অজি ক্রিকেটার।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় ওয়ার্নারের। ১৫ বছরের ক্যারিয়ারে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। সবশেষ ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ে দারুণ অবদান রেখেছেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। ১১ ম্যাচে ওয়ার্নার করেছেন ৫৩৫ রান। এর মধ্যে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৩ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তিনি।