আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় শেষ হচ্ছে সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। ফলে আজ বৃহস্পতিবার প্রচারের শেষ সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া বিভিন্ন আসনের প্রার্থী ও সমর্থকরা। নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আজই শেষ জনসভা করবেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ভোটগ্রহণ চলবে।
ভোটের দিন সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের সহায়তা দিতে এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী। এরপরও বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী উত্তাপ রয়ে গেছে।
বুধবারও কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। নানামুখী হিসাব-নিকাশে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাও দিয়েছেন কোনো কোনো প্রার্থী। তবে প্রায় ২০০ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই।
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২৯৯ আসনে ১ হাজার ৯৭০ প্রার্থী নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় আছেন এবং তারা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
২৮ রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াই করছেন ১ হাজার ৫৩৪ প্রার্থী। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন ৪৩৬ জন। নওগাঁ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল ইসলাম মারা যাওয়ায় ওই আসনের নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৬ রাজনৈতিক দল ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে ভোট ঠেকানোর আন্দোলনে রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে রেকর্ডসংখ্যক শোকজ, তলব, সতর্ক ও জরিমানার পরও প্রার্থীদের বাগে আনতে পারছে না ইসি।
কমিশনের রক্তচক্ষুর আড়ালে সারাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের হুমকি-ধমকি, হামলা, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলাসহ নানা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চলেছেন অনেক প্রার্থী। এসব অভিযোগে গতকালও কয়েকজন প্রার্থী ও তাদের সমর্থককে শোকজ করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাদের সমর্থকদের এ পর্যন্ত ৫৮৯টি শোকজ ও তলব নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১৩১টি এবং সিলেট অঞ্চলে সর্বনিম্ন ২১টি নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশের জবাবে এ পর্যন্ত ৩৮৪ প্রার্থী ও তাদের সমর্থক অনুসন্ধান কমিটির কাছে সরাসরি অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।