মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ওআইসিসহ সারা বিশ্ব অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশংসা করছে। অভিনন্দন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও। শুধু বাংলাদেশেরই একটি মহল এ নির্বাচনকে পছন্দ করতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ বুধবার (১৭ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভায় মন্ত্রী আরো বলেন, নির্বাচনের ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছে গেছে। পরবর্তী ট্রেনের জন্য বিএনপিকে আরো ৫ বছর অপেক্ষা করতে হবে।
কাদের বলেন, সময় আছে পাঁচ বছর। পাঁচ বছরের মধ্যে আর উল্টোপাল্টা বলে কোনো লাভ নেই। অপেক্ষা করতে হবে। বিএনপিকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ বছর পর আবার ১০ ডিসেম্বর, আবার ২৮ অক্টোবরের অপেক্ষা করুন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগকে নির্বাচন শেখাতে হবে না। এ দেশে ভালো নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেখ হাসিনা চালু করেছেন। এই নির্বাচনে আমরা দেখলাম সরকারি দলের একজন প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল ও কয়েকজনকে শোকজ করা হয়েছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা নতুন দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বহু দেশ নির্বাচিত সরকারের প্রশংসা করছে। শুধু বাংলাদেশের একটি দল ছাড়া। নির্বাচনে এলে হেরে যাবে বলে বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এই নির্বাচনকে যারা বয়কট করেছে তারা অনেক কথা বলেছে।
নির্বাচন পাতানো ছিল না দাবি করে কাদের বলেন, নামিদামি দেশ পর্যবেক্ষণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও অভিনন্দন জানিয়েছেন সরকারকে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন হয়েছে বলে দাবি করে কাদের আরো বলেন, বিরোধী দলের নির্বাচন বয়কট করায় নতুন রণকৌশল নিতে হয়েছে। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য বড় অংশ। জনগণের অংশগ্রহণে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে রণকৌশল নিতে হয়েছে, যার সোনালী ফসল ঘরে তুলেছি। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
শেখ হাসিনা দেশে ভালো নির্বাচন করেছেন জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করেছে, সরকারি দলের প্রার্থীকেও শোকজ করেছে কমিশন। গণতন্ত্রের জন্য উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন শেখ হাসিনা।