মালদ্বীপে অবস্থানরত প্রায় ৮৮ জন ভারতীয় সেনাকে প্রত্যাহারের দাবির ইস্যুতে ‘পারস্পরিক কার্যকর সমাধান’ খুঁজতে খোলাখুলি আলোচনা করছে ভারত ও মালদ্বীপ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে অস্বস্তির মধ্যে সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ভারতকে ১৫ মার্চের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল মালদ্বীপ সরকার। এসব সেনার বেশিরভাগই বিমান বাহিনীর।
এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ভারত ও মালদ্বীপ উভয় পক্ষই পারস্পরিকভাবে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করার বিষয়ে আলোচনা করেছে। যাতে ভারতীয় বিমান চলাচল প্ল্যাটফর্মগুলো মালদ্বীপের জনগণকে মানবিক ও মেডেভাক পরিষেবা প্রদান করতে পারে। ’
মালদ্বীপে মোট ৮৮ জন ভারতীয় সেনা রয়েছেন। স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর এই সেনারা দেশটির ১ হাজারের বেশি দ্বীপে ভারতের বিমান ও হেলিকপ্টার পরিষেবার তদারক করেন। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজ চালান এবং দুর্গম দ্বীপগুলোয় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করে থাকেন।
ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বিমান ও হেলিকপ্টার দিয়েছিল ভারত। সে দেশের সমুদ্রসীমার মধ্যে সমুদ্র গবেষণার জন্য দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও হয়েছিল দুই দেশের মধ্যে। চলতি বছরের জুনে সেই চুক্তি নবায়ন হওয়ার কথা রয়েছে।
তবে গত বছরের নভেম্বরে ‘আউট ইন্ডিয়া’ স্লোগান দিয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মুইজ্জু। নির্বাচিত হওয়ার পরই ভারতীয় সেনা অপসারণ ও চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত জানান চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত মুইজ্জু।
গত ১৪ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্তা আবদুল্লাহ নাজিম ইব্রাহিম সরকারি ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন।