সপ্তম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ে জায়গা পাওয়া সচেতনতামূলক ‘শরীফার গল্প’ পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষকের প্রকাশ্যে শরীফার গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রশীদকে।
অন্য সদস্যরা হলেন- ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, এনসিটিবির সদস্য মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদরাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।
নতুন শিক্ষা কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে শরিফা গল্প।
‘হিজড়া’ সম্প্রদায় নিয়ে লেখা ওই গল্প মূলত একটি সচেতনতামূলক পাঠ। মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা বিষয়ে ধারণা দিতে এই গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কিন্তু গত শুক্রবার জাতীয় শিক্ষক ফোরামের অনুষ্ঠানের মধ্যে বক্তব্য দেওয়ার সময় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব বই থেকে থেকে শরীফার গল্পের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলেন।
ধর্ম ব্যবহার করে অস্থিতিশীলতার পাঁয়তারা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী ধর্ম ব্যবহার করে অস্থিতিশীলতার পাঁয়তারা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী
এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়।
গল্পের বিপক্ষে পণ্য বর্জনসহ উগ্র ধর্মীয় গোষ্ঠীও নানা প্রতিক্রিয়া দেখায়। এরি মধ্যে বুধবার শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, একটা গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।