জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীদের এক সভায় জিএম কাদের ও চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। একই সাথে নিজেকে পার্টির চেয়ারম্যান এবং মামুনুর রশীদকে মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি।
রোববার রওশন এরশাদের গুলশানের বাসায় জাতীয় পার্টির বহিস্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী নেতাকর্মীসহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন রওশন এরশাদ।
সভায় রওশন এরশাদ বলেন, জাতীয় পার্টির ক্ষতি কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। যাদের বিনা কারণে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাদেরকে চলে যেতে দিতে পারি না, তাই আজ পার্টিকে রক্ষার জন্য কিছু সাংগঠনিক ব্যবস্থা ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি ক্রান্তিকাল পার করছে। নির্বাচনে ২৮৭ আসনে প্রার্থী দিয়ে তারা আবার সমঝোতা করেছে ২৬ আসনে। চেয়ারম্যান-মহাসচিব খোঁজখবর না নেয়ার কারণে সবার ভরাডুবি হয়েছে। পরাজিতদের শান্তনা না দিয়ে করা হয়েছে বহিষ্কার। তাদেরকে এই আদেশ বাতিল করতে অনুরোধ করা হলেও তারা সেই কথা রাখেনি।
জিএম কাদের-চুন্নুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি থেকে সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত নেতা শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জিএম কাদের-চুন্নুর নেতৃত্ব আর মানে না, এরা আবর্জনায় পরিণত হয়েছে, এদেরকে দূর করতে হবে। সবাই আজ থেকেই রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
অব্যাহতি প্রাপ্ত জাতীয় পার্টির আরেক নেতা ইয়াহিয়া চৌধুরী বলেন, জাতীয় পার্টির দুর্দিন যখনই এসেছে তখনই রওশন এরশাদ দলকে সংকটমুক্ত করেছেন। এখন আবার সংকটে জাতীয় পার্টি, চুন্নু কাদেরের হাত থেকে দলকে রক্ষা করতে রওশন এরশাদের নেতৃত্ব নেয়া প্রয়োজন।পরে রওশন এরশাদ ঘোষণা করেন, দলের সংকট নিরসনে ২০/১ ধরার ক্ষমতাবলে জিএম কাদের ও মহাসচিব চুন্নুকে পার্টি থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো। নেতাকর্মীদের অনুরোধে পার্টির আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম। পরবর্তী সম্মেলন না হওয়া পর্যন্ত মামুনুর রশীদকে মহাসচিব ঘোষণা করা হল। যাদেরকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে তারা স্বপদে বহাল থাকবেন।
রওশন এরশাদ ঘোষিত জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব মামুনুর রশীদ জানান, ফেব্রুয়ারির শেষে অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সম্মেলন করার চেষ্টা করা হবে। দায়িত্ব নিয়েছি দলের সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করবো। বনানী কার্যালয় দখল করার পরিকল্পনা নেই, কাকরাইল অফিস থেকে দল পরিচালনা করা হবে।