দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে শুধু ‘হুমকি ধমকি’ নয়, কার্যকর ‘অ্যাকশন’ নেওয়ার পক্ষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তার ভাষায়, নতুন সরকারের সামনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হল মূল্যস্ফীতি কমানো।
সোমবার (২৯ জানুয়ারি) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কথায় কথায় কাউকে ধমক দিলে সমস্যার সমাধান হবে না । যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে পজিটিভ অ্যাকশনে যেতে হবে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা কথা রাখবে, মিষ্টি কথায় তো চিড়ে ভিজে না। কথা যেভাবে বলতে হয় সেভাবেই বলতে হবে আমাদের। যে অ্যাকশনের দরকার সে অ্যাকশন নিতে হবে। শুধু হুমকি ধমকি দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। এখানে অ্যাকশন নিতে হবে, কৌশল অবলম্বন করতে হবে। কারণ আমাদের দেশের যে বাস্তবতা, সবকিছু ডাণ্ডা মেরে ঠান্ডা করা যায় না। কিছু কিছু কৌশলেও যেতে হবে এবং সেটা উপলব্ধি করতে হবে। এখন আমাদের প্রায়োরিটি হচ্ছে দ্রব্যমূল্য। বাজার নিয়ন্ত্রণ এ বিষয়টা চ্যালেঞ্জ।
বিএনপির নেতা মঈন খানকে উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, মঈন খান সাহেবদের দল ৭৫ এর বঙ্গবন্ধু হত্যার মধ্যে দিয়ে তারপর ৩ নভেম্বর, একুশে আগস্টে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রাইম টার্গেট করে হামলার মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী রাজাকার, আল বদরের দল। গর্হিত বক্তব্য দেয়ার জন্য মঈন খানকে ক্ষমা চাইতে হবে জাতির কাছে।
একেক বার একেকটা নিয়ে বিএনপি আজকে অপপ্রচার করছে। আজকে দেশের কারাগার গুলোতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের সর্বমোট মিলিয়ে ১০ হাজারের মতো বন্দি আছে। অথচ তারা আজকে জাতিসংঘ ও মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের কাছে অপপ্রচার করেছে। মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে তাদেরকে দিয়ে বলাচ্ছে, যে বাংলাদেশে ২৫ হাজার বিএনপি নেতাকর্মী জেলে আছে তাদেরকে মুক্তি দিতে হবে।
স্থানীয় নির্বাচন থেকে দলীয় প্রতীক সরিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি যদি বলি কোন্দল নিরসনের জন্য আমাদের কৌশল নিতে হয়েছে। ইলেকশনে (জাতীয় নির্বাচনে) আমরা কৌশল নিয়েছি স্বতন্ত্রদের ইলেকশন করতে দিয়েছি। যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিল তারা নির্বাচন করেছে। সে কৌশলের তো বিজয় হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নতুন চমকের বিজয় তো হয়েছে