ভারত আগামী মে মাসের মধ্যে মালদ্বীপ থেকে নিজেদের সেনা প্রত্যাহার করে নেবে বলে শনিবার জানিয়েছে মালদ্বীপের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দুই পক্ষের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কয়েক দফা আলোচনার মধ্যে এ ঘোষণা এল।
মালদ্বীপে ভারতের প্রায় ৮০ জন সেনা সদস্য নানা দায়িত্বে রয়েছেন। মে মাসে সেনা সদস্যদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর বেসামরিক কর্মকর্তারা তাদের স্থলাভিষিক্ত হবেন বলেও উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় সেনাদের প্রথম দলটি আগামী ১০ মার্চ এবং শেষ দলটি ১০ মে মালদ্বীপ ছেড়ে যাবে বলেও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়।
ইন্দো-প্যাসেফিক অঞ্চলে প্রভাব বিস্তারে ভূরাজনৈতিক কারণে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। তাই দুই বৃহৎ প্রতিবেশী ভারত এবং চীন উভয়ই ভারত মহাসাগরের ছোট্ট এই দেশটিকে নিজেদের বলয়ে রাখতে চায়।
ঐতিহ্যগতভাবে দিল্লির সঙ্গে মালের বরাবরই সুসম্পর্ক বিরাজমান থেকেছে। কিন্তু এবার মালদ্বীপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন চীনঘেঁষা মোহামেদ মুইজ্জু। যিনি ‘ভারত খেদাও’ প্রচার দিয়েই ভোটারদের ভোট জিতেছেন এবং নির্বাচিত হওয়ার পরপরই নিজের প্রতিশ্রুতি পালনে জোর তোড়জোড় শুরু করে দেন।
গত বছর নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণের পরদিনই তিনি ভারতকে তার দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন।
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্টরা সাধারণত দিল্লি সফর দিয়ে নিজেদের আন্তর্জাতিক সফর শুরু করেন। নিজেদের এই ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট পলিসি’ দিয়ে এতদিন মালে ভারতের প্রতি তাদের বন্ধুত্ব অটুট থাকা বার্তা দিয়ে এসেছে।
তবে মুইজ্জু এর ব্যতিক্রম তৈরি করেন। তিনি নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে ভারতে না গিয়ে চীনে যান।
চীন সফর থেকে ফিরেই গত মাসের মাঝামাঝিতে তিনি ভারতকে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সময় বেঁধে দেন।