নোয়াখালীর সুবর্ণচরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে মা-মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার প্রধান আসামি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে তাকে জেলা শহর মাইজদী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে, সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ২টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার আবুল খায়ের ওরফে মুন্সী মেম্বার ওই উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাজী মোখলেছ গ্রামের মৃত গোলাপের রহমানের ছেলে। তিনি চরওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী পেশায় একজন দিনমজুর। তিনি তিন-চারদিন পর পর বাড়িতে আনসে। ভুক্তভোগী গৃহবধূর ভাষ্যমতে, এ সুযোগে ৫ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ২টা থেকে ২টার মধ্যে তার বসতঘরের সিঁধ কেটে ঢুকে তাকে ও মেয়েকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে তিনজন। এর মধ্যে তাকে ধর্ষণ করেন দুজন ও তার মেয়েকে একজন।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, আমি বা আমার স্ত্রী কোনো বিপদ-আপদে পড়লে সহযোগিতার চেষ্টা করতেন আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বার। কিছু দিন আগে আমার স্ত্রীকে মোরগ খাওয়ানোর প্রস্তাব দেন মুন্সি। ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মুন্সি মেম্বার মোবাইলফোন নম্বর সংগ্রহ করে কল দিয়ে আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত শুরু করেন। পরে মুন্সি মেম্বারের মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেন আমার স্ত্রী। এসব ঘটনার জের ধরে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন বলেন, মামলার প্রধান আসামি আবুল খায়ের ওরফে মুন্সি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় আরও একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গৃহবধূ ও তার মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।