মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলমান গৃহযুদ্ধের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে আবারো মর্টার শেল ও গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে।
আর মিয়ানমার থেকে ছোঁড়া অন্তত চারটি গুলি বাংলাদেশের একটি দোকান ও বাড়িতে এসে পড়েছে।
এদিকে ঘুমধুম সীমান্তে পাওয়া গেছে আরো একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল।
কয়েকদিন শান্ত থাকার পর শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরপর মর্টার শেলের ভারী বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
এ সময় কেঁপে ওঠে এপারের বসতবাড়ি। সকালে কয়েকটি বাড়ির উঠানে গুলি পাওয়া গেছে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্ত ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত শান্ত আছে
গত দুই ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাদের সংঘর্ষ চলছে।
প্রাণঘাতী এ গৃহযুদ্ধে বিদ্রোহীর কাছে জান্তা সরকারের বাহিনীগুলো একের পর এক পরাজিত হয়ে ভূমির দখল হারাচ্ছে।
সংঘর্ষের জেরে সীমান্তের ওপার থেকে বাংলাদেশ প্রায়ই মর্টার শেল ও গুলি এসে পড়ছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মর্টার শেলের আঘাতে গত সপ্তাহে দুইজন নিহত হয়েছেন।
আর মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, সেনা ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ ৩৩০ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।