সীমান্তের বেশিরভাগ জায়গা থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য বিতাড়িত হলেও বিভিন্ন জায়গায় এখনো গোলাগুলি চলছে। সীমান্তে বসবাস করা মানুষরা জানিয়েছেন, সেসব গুলি এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডেও। বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে এসব গুলি কেন করা হচ্ছে, তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে।
তুমব্রু থেকে শুরু করে হোয়াইখ্যাং সীমান্ত পর্যন্ত মিয়ানমারের অংশে সেদেশটির সীমান্তরক্ষী বিজেপি’র সব ঘাঁটি দখলে নিয়েছে বিদ্রোহী আরাকান আর্মি। এরিমধ্যে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদমর্যাদার আঞ্চলিক কমান্ডারসহ ৩৩০ জন বিজেপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
কিন্তু তার তারপরও শনিবার সকালে হোয়াইখ্যাং সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দে ঘুম ভাঙ্গে এলাকাবাসীর। গুলি বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় এক কিলোমিটার ভেতরে এসেও ঘরের দেয়ালে আঘাত করে। হোয়াইক্যং উত্তর পাড়া হোছেন আলীর মুদির দোকানে, হাইওয়ে রোডের পাশে হোয়াইক্যং মাঝের পাড়া আবছারের বাড়িতে, উত্তর পাড়া ধলু মিয়ার বাড়িতে গুলি এসে পড়ে।
ভোর পাঁচটার দিকে শুরু হয় গোলাগুলি। প্রায় ঘণ্টা দেড়েক চলে। এ সময় ফজর নামাজ শেষে কোরআন তেলওয়াত করছিল হোয়াইক্যং মাঝের পাড়ার হাজী মোহাম্মদ আবছার। হঠাৎ করেই পর পর দুই গুলি এসে পড়ে তার ঘরে। গুলি সামান্য পাশ দিয়েই চলে গিয়ে দেয়ালে ঠেকে। অল্পের জন্য রক্ষা পায় হাজী আবছার।
মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষীদের বক্তব্য জানতে দোভাষী হিসেবে কাজ করা সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানালেন, বাংলাদেশে আসার সীমান্ত রক্ষীরা স্পষ্টভাবেই জানিয়েছেন তাদের সব ঘাঁটিগুলো দখল হয়ে গেছে। প্রাণভয়ে তারা যে যেভাবে পেরেছে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীরা বিতাড়িত হবার পরেও বাংলাদেশকে লক্ষ্য করে কারা এই গুলি ছুটছে তা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। শনিবার ভোরেও মিয়ানমারের কুমির খালী সীমান্ত ফাঁড়িতে ভোর থেকে গোলাগুলি চলছে। মিয়ানমারের মর্টার শেল ও মুহুর্মুহু গুলিতে প্রকম্পিত হচ্ছে এপার।
এর আগে মিয়ানমারে লড়াইয়ের গুলি, মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। থেমে থেমে চলমান এ ঘটনায় উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠা রয়েছে সীমান্তবাসী।