রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে এক সহকারি প্রধান শিক্ষকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের নাম গোলাম মোস্তফা। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটলেও পরে এটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে। পরে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে পিটিয়ে জখম করে। এক পর্যায়ে আহত ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
চকরাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষক গোলাম মোস্তফা নবম শ্রেণির ক্লাসে গিয়ে বার্ষিক শিক্ষাসফরে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে বলেন। সুন্দরবন এলাকায় তাদের সফর হওয়ার কথা থাকায় বানরের আক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়েছে- কীভাবে বানরের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে সেটি হাত নেড়ে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন শিক্ষক মোস্তফা। এ সময় এক ছাত্রীর ওড়নায় তার হাতের স্পর্শ লাগে। পরে ছাত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে তার অভিভাবকদের জানান। পরে তার অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে এসে অফিস কক্ষে ঢুকে শিক্ষক মোস্তফাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রাও এসে মারপিট করে। এতে ওই শিক্ষকের মাথায় জখম হয়। পাশাপাশি হাতের দুটি আঙ্গুলও ভেঙে যায়।
স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষককে অফিসের তালা ভেঙ্গে মারপিট করা করা হয়েছে। পরে তারা থানায় বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
বিষয়টিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দাবি করে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই এলাকায় রাজনৈতিক প্রহিংসার শিকার হচ্ছিলেন তিনি। এর আগেও তাকে কয়েকবার লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ছাত্রীর আপত্তিকর স্থানে স্পর্শ করা হয়েছে বলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ছাত্রীর পরিবার। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।