জনগণের বন্ধু হয়ে এবং দেশপ্রেম, সততা ও আদর্শ নিয়ে কাজ করার বাংলাদেশ পুলিশকে নির্দেশে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশ দেন তিনি।
এ সময় ‘দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের পালন’কে মূলমন্ত্র হিসেবে নিয়ে মানুষের আস্থা অর্জনে পুলিশ বাহিনীর কাজ করার নির্দেশ শেখ হাসিনা।
দেশে ও দেশের বাইরে শান্তিরক্ষায় পুলিশ সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুলিশের উপর বারবার আঘাত এসেছে। কিন্তু ধৈর্যের সঙ্গে তা মোকাবেলা করেছে পুলিশ সদস্যরা।
অন্যান্য বাহিনীর মত পুলিশেরও এভিয়েশন ইউনিট গড়ে তোলা হবে বলে জানান সরকারপ্রধান। তিনি আশা করেন, পুলিশ বাহিনী দেশের অগ্রযাত্রায় বিশেষ অবদান রাখবে।
‘স্মার্ট পুলিশ স্মার্ট দেশ, শান্তি প্রগতির বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এদিন শুরু হয়েছে পুলিশ সপ্তাহ। বার্ষিক পুলিশ প্যারেডের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছয় দিনের কর্মসূচি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের দৃষ্টিনন্দন প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এরপর পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে দিক নির্দেশনামূলক ভাষণ দেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতির পুনাক স্টল পরিদর্শন করেন।
এবার প্যারেড কমান্ডার হিসেবে কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার মো. সোহেল রানা।
পুলিশ সপ্তাহে ২০২২ সালের পহেলা ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতির জন্য পদক পাওয়া পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে এবার বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম), ৬০ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা দেওয়া হয়।