সোমবার , ৪ মার্চ ২০২৪ | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

স্বজনহারার বেদনা বুঝি, বিচারও করেছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ৪, ২০২৪ ১:১৫ অপরাহ্ণ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানবিক কারণে প্রায় ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আমরা আশ্রয় দিয়েছি। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আলোচনা চলছে। আমরা আলোচনার মাধ্যমেই আমরা এই সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি।

সোমবার সকালে রাজধানীর পিলখানা সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি চোরাচালান, মাদক, নারী-শিশু পাচার রোধসহ বিভিন্ন কাজ বিজিবি অত্যন্ত দায়িত্বশীলতার সঙ্গে করে যাচ্ছে। আমাদের দেশমাতৃকা রক্ষায় সদা জাগ্রত অতন্দ্র প্রহরী হলো বিজিবি। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যখনই কোনো সমস্যা হয়, তখনই বিজিবির সদস্যরা সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জানমাল রক্ষায় ভূমিকে রেখেছে।

তিনি বলেন, বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ আজকে যারা বিভিন্ন পদকে ভূষিত হয়েছেন আমি তাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এভাবেই আপনারা দক্ষতার পরিচয় দেবেন। যেন আমরা এই পদক আরও বেশি বেশি দিতে পারি। শৃঙ্খলা একটি বাহিনীর মূল চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলার ব্যাঘাত ঘটাবেন না। চেইন অব কমান্ড মেনে চলবেন।

এসময় জাতির পিতা বন্দী হওয়ার আগ মুহূর্তে স্বাধীনতার যে ঘোষণা দেন তা দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে এ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। স্মরণ করেন, ২০০৯ সালে পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে নিহতদের।

২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখানে এলেই মনটা ভারী হয়ে যায়। ২০০৯ সালে কেবল সরকার গঠন করি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ঘটে এক অঘটন। এই বিদ্রোহে ৫৭ অফিসারসহ ৭৪ জন জীবন হারায়। নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। স্বজনদের সহমর্মিতা জানাচ্ছি। স্বজনহারার বেদনা কত কঠিন, সেটা বোধহয় আমার থেকে কেউ বেশি জানে না। আমরা এই ঘটনার বিচার করেছি।

তিনি বলেন, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ব্যবস্থা করছি। যত খাদ্য লাগে আমরা বাইরে থেকেও নিয়ে আসছি। পাশাপাশি দেশের প্রতিটি মানুষকে উৎপাদন করতে হবে। যাতে আমাদের কারও কাছে হাত পাততে না হয়। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। বিজিবি বিশ্বমানের আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে আমরা চাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিজিবির কুচকাওয়াজ দেখে আমি আনন্দিত। বিশেষ করে, নারী সদস্যদের ড্রিল দেখে আমি বেশি আনন্দিত। বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য যারা আজ পদক পেলেন আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। জাতির পিতা ‘ঈমানের সঙ্গে কাজ করো, সৎ পথে চলো’ বলে গিয়েছিলেন। তার এ নির্দেশনা আপনারা মেনে চলবেন, আশা করি।

তিনি বলেন, দেশমাতৃকা রক্ষায় সদাজাগ্রত বিজিবি। তারা দেশের অর্থনীতির জন্যও কাজ করে। বিজিবি রোহিঙ্গাদেরও নিরাপত্তা দিচ্ছে। রোহিঙ্গাদের আমরা মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে ঝগড়ায় যাইনি। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করে যাচ্ছি। আশা করি, তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে পারবো।

সরকারপ্রধান বলেন, দক্ষ আধুনিক শক্তিশালী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে বিজিবি আত্মপ্রকাশ করেছে। আমরা এর জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছি। প্রতিটি ইউনিট সুন্দরভাবে সীমান্ত রক্ষা, সীমান্তে অপরাধ দমনে কাজ করতে পারছে। আমরা চাই, বিজিবি হবে অন্যতম স্মার্ট বাহিনী। এই প্রথম আমরা নারী সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত করেছি। ২০১৫ থেকে এই বাহিনীতে নারী সংযুক্ত হচ্ছে। তারা বেশ স্মার্ট, আজকে আপনারা দেখলেন।

তিনি বলেন, জাতির পিতার হত্যার পর যারাই ক্ষমতা এসেছে, সীমান্ত চুক্তি নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। আমরা ক্ষমতায় এসে সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি। ছিটমহল বিনিময় অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে করেছি। এতে বিজিবিও কাজ করেছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক