সোমবার , ৪ মার্চ ২০২৪ | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

রমজানে ৬০০ টাকায় মাংস বিক্রি করবে সরকার

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ৪, ২০২৪ ৪:৪৪ অপরাহ্ণ

রমজান উপলক্ষে আগামী ১০ মার্চ থেকে রাজধানীর ৩০টি স্থা‌নে গরুর মাংস ৬০০ টাকা দ‌রে বি‌ক্রি করা হ‌বে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

সোমবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় অধিবেশন শে‌ষে সাংবাদিক‌দের এ তথ্য জানান মন্ত্রী।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ব‌লেন, রমজান উপলক্ষে সাশ্রয়ী মূ‌ল্যে মাছ ও মাংস বি‌ক্রি করা হবে। এর ম‌ধ্যে ঢাকার ৩০টি স্থা‌নে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক সে‌লের মাধ্যমে গরুর মাংস ৬০০ টাকায়, খাসির মাংস ৯০০ টাকায় আর সলিড ব্রয়লার মুরগি ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হবে।

তি‌নি ব‌লেন, ডিম বিক্রি হবে প্রতিটি ১০ টাকা ৫০ পয়সা করে। এটা আমাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা। আগামী ১০ মার্চ এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। বিক্রি চলবে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত।

মন্ত্রী আব্দুর রহমান ব‌লেন, ঢাকার বাইরেও ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করার তাগিদ আছে। পর্যায়ক্রমে সামর্থ্য অনুসারে আরও বেশি জায়গায় এটা করার চেষ্টা করব।

নির্বাচনের আগে বেশ ঘটা করে গরুর মাংসের দাম প্রতিকেজি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। কিন্তু নির্বাচনের পরেই অস্থির হতে শুরু করে মাসের বাজার। শবে বরাতের সময় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি শুরু হয় ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা দরে। দাম বাড়ে খাসির মাংসেরও। প্রতি কেজি বিক্রি ১,১০০ টাকায় বিক্রি শুরু হয়। কোথাও কোথাও এর চেয়ে আরও অনেক বেশি। আর বাজারের তুলনায় রাজধানীর সুপারশপগুলোতে মাংসের দাম আরও অনেক বেশি। বরাবরের মতো খুচরা বিক্রেতা দুষছেন হাটের ব্যাপারীদের। আর সাধারণ মানুষের আক্ষেপ তদারকি না থাকার।

রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ডিসিদের ভূ‌মিকা নি‌য়ে মন্ত্রী ব‌লেন, রমজান মাসে আমরা কঠোরভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করবো। এবার ডিসিরা তাদের সকল সামর্থ্য নিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে একমত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের কাছেও অনুরোধ করা হ‌য়ে‌ছে আপনারা মানুষকে কষ্ট দিয়ে অধিক মুনাফা লাভের চেষ্টা করবেন না।

মন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদন ও প্রাণিসম্পদে আমরা সন্তোষজনক অবস্থায় আছি। এর প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের মাথায় আরও কিছু পরিকল্পনা আছে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে আছে কারেন্টের জাল। এটা দিয়ে যত্রযত্র মাছ ধরা হয়। যে মাছ থেকে মাছের বিস্তার হবে, সেটাও কারেন্ট জাল দিয়ে ধরা হয়। এ বিষয়টা আমরা ডিসিদের বলেছি। মাইকিং করে জালগুলো তুলে ফেলতে হবে। না করলে জেলাপ্রশাসকদের নেতৃত্বে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে জালগুলো আটক করতে হবে।

তি‌নি ব‌লেন, জাটকা নিধন বন্ধে কিছুদিন ইলিশ ধরা বন্ধ রেখেছি। আগামী ১১ মার্চ থেকে এটা শুরু হবে। এই মধ্যবর্তী সময়ে যারা মৎস্যজীবী আছেন, তাদের একটা সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে রেশনিংয়ের মধ্যে নিয়ে আসার ব্যবস্থার কথা বলেছি। তাদের যদি একটা প্রণোদনা দেওয়া হয় তাহলে মাছ না ধরার কারণে তাদের ক্ষতি তারা পুষিয়ে নিতে পারবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক