তথ্য চেয়ে আবেদন করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্তের ওপর জোর দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। রোববার (১০ মার্চ) তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দফতরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দৈনিক দেশ রূপান্তরের শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা সংবাদদাতা শফিউর রহমান রানাকে কারাদণ্ড প্রদানের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। পাশাপাশি তিনি বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন।
এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার মো. আব্দুল মালেকের সাথে কথা বলছেন প্রতিমন্ত্রী। বিষয়টির খোঁজ-খবর নেয়ার বিষয়টিও জানানো হয়েছে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
এ ঘটনার তদন্তের বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তদন্তের জন্য আগামী ১০ মার্চ শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা ও সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাবেন তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক। ১১ মার্চ উক্ত তদন্তের প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে তার।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রধান তথ্য কমিশনার মো. আব্দুল মালেকের সাথে কথা বলেন এবং বিষয়টির খোঁজ-খবর নেন। এ সময় ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্তের ওপর জোর দেন প্রতিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ৫ মার্চ শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় তথ্য অধিকার আইনের মাধ্যমে তথ্যের জন্য আবেদনের চেষ্টা করায় শফিউজ্জামান রানা নামের এক সাংবাদিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শিহাবুল আরিফ এ আদেশ দেন। এ ঘটনায় জামালপুর ও শেরপুরের সাংবাদিকরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
পরিবারের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন করার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।