শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

পিটার হাসের লেখায় দুরভিসন্ধি দেখছেন বিশ্লেষকেরা

বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহবান জানিয়েছেন। জাতীয় দৈনিক প্রকাশিত কলামে তিনি একথা বলেন। তবে এই আহবান দুরভিসন্ধিমূলক বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, নিজ দেশের স্বার্থই এসব কথা বলছেন পিটার হাস। নির্বাচনের আগে তিনি যেসব কথা বলেছিলেন, তাও নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বলেছেন। মূলত তাদের জাতীয় স্বার্থই এখানে আসল।

গত ১৫ মার্চ প্রকাশিত ‘বাংলাদেশের সামনে যে সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ কলামে পিটার হাস লেখেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো বাংলাদেশ ও বিশ্বের সর্বত্র গণতন্ত্রের বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করে। সহজ করে বলতে গেলে, আমরা বিশ্বাস করি, দেশের মানুষের কল্যাণে গণতন্ত্র হলো স্থায়ী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের সর্বোত্তম উপায়। আমরা সাহসী নাগরিক সমাজ এবং মানবাধিকারকর্মীদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখব। যেসব গণমাধ্যমকর্মী দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিয়মতান্ত্রিক দমন ও হয়রানির শিকার হন, তা অবসানের আহবান আমরা অব্যাহত রাখব। বাক ও সমাবেশের স্বাধীনতা যাতে বজায় থাকে, সে ব্যাপারে আমরা চাপ অব্যাহত রাখব। আমরা আরও উন্মুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক সমাজের পথকে সুগম করতে অর্থপূর্ণ রাজনৈতিক সংলাপের আহবান জানানো অব্যাহত রাখব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কিছুদিন আগে কোনো শর্ত ছাড়াই রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। বিএনপির সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আওয়ামী লীগ সংলাপের কথা বললেও বিএনপি তা নাকচ করে দিয়ে বলেছিলেন, শর্তহীন সংলাপে রাজি নয় বিএনপি।

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে গেল বছরখানেক ধরেই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দৌড়ঝাঁপের মধ্যে ছিলেন পিটার হাস। কখনো রাজনৈতিক দল ও নেতাদের দুয়ারে ধর্না দিয়েছিলেন তিনি। আবার বিএনপি জামায়াত ও জাতীয় পার্টির নেতারা আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিকভাবে দফায় দফায় বসেছেন তার সঙ্গে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের ধুয়া তুলে নানা সবক দেয়ার চেষ্টা করেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। কিন্তু গেল বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশের নামে বিএনপি জামায়াতের নজিরবিহীন তাণ্ডবের পর নীরব হয়ে যান পিটার হাস।

তবে নতুন সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে উপস্থিত ছিলেন পিটার হাস। শপথের পরদিনই তিনি দেখা করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে। এরপর ধারাবাহিকভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রীসহ বিভিন্ন মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে কথা বলে আসছেন পিটার হাস। এই প্রেক্ষাপটে দৈনিক পত্রিকায় পিটার হাস কলাম লিখে রাজনৈতিক সংলাপের আহবান জানান। বিশ্লেষকরা যেটিকে দুরভিসন্ধিমূলক বলছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র কিংবা মানবাধিকার বাস্তবায়ন করতে আসেননি পিটার হাস। তিনি নিজ দেশের স্বার্থই দেখছেন। নির্বাচনের আগে পিটার হাস যেসব কথা বলেছিলেন, তাও নিজ দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্যই বলেছেন। মূলত তাদের জাতীয় স্বার্থই এখানে আসল।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সরকার ও রাজনীতির বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূইয়া বলেন, স্বার্থের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আজকে এক দিক দিয়ে ভালো সম্পর্ক রাখবে, কালকে হয়ত অন্য দিক দিয়ে চাপ দিবে। বাংলাদেশে আজকে তারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চাপ প্রয়োগ করেছে। যেমন, শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার নিয়ে।

Facebook
X
WhatsApp
Email
Telegram
সর্বশেষ
ফেসবুক নেটওয়ার্ক ও পার্টনার পেজ
মিডিয়া
Cover for Table Talk Uk
595,824
Table Talk Uk

Table Talk Uk

Table Talk UK Discusses the political and social issues of the country. Our only purpose is to expose social inconsistencies and politics in the face of accountability on the path to democracy and talk about the rights of people.

This message is only visible to admins.
Problem displaying Facebook posts. Backup cache in use.
PPCA Error: Due to Facebook API changes it is no longer possible to display a feed from a Facebook Page you are not an admin of. The Facebook feed below is not using a valid Access Token for this Facebook page and so has stopped updating.

Smash Balloon Custom Facebook Feed WordPress Plugin The Custom Facebook Feed plugin

সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
কপিরাইট © 2025 সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত — লন্ডন মিরর।
সম্পাদক: হাসিনা আক্তার
সার্চ করুন
লগইন/সাইন আপ
সর্বশেষ সংবাদ জানতে—এখনই সাবস্ক্রাইব করুন!