রবিবার , ১৭ মার্চ ২০২৪ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. London Mirror Specials
  2. অন্যান্য
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. খুলনা
  6. খেলা
  7. চট্রগ্রাম
  8. জেলার খবর
  9. ঢাকা
  10. তথ্য-প্রযুক্তি
  11. প্রবাসের কথা
  12. বরিশাল
  13. বাংলাদেশ
  14. বিনোদন
  15. ব্যাবসা-বাণিজ্য

অবন্তিকার আত্মহত্যায় সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে: ডিএমপি

প্রতিবেদক
Newsdesk
মার্চ ১৭, ২০২৪ ১০:০৭ অপরাহ্ণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের প্রাথমিক সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

তিনি বলেন, ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার ভিত্তিতে কুমিল্লা পুলিশের চাওয়া অনুযায়ী দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের কুমিল্লা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে তারা আমাদের ঘটনার খণ্ডিত অংশ জানিয়েছে। তদন্তের আগে পূর্ণাঙ্গ অংশ বলা সম্ভব না। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এ ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। তবে গভীরতা কতখানি বা তাদের কার দিকে কত দায় সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।

ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, দেশের যে কোনো জায়গায় কোনো অপরাধ ঘটলে, তার সংশ্লিষ্টতা যদি ঢাকাতে থাকে সে বিষয়ে ডিএমপি সবসময়ই আন্তরিক। অবন্তিকা কুমিল্লাতে আত্মহত্যা করলেও যেহেতু তার বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার লালবাগে তাই বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলতে থাকে।

তিনি বলেন, অবন্তিকা ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছিল, সেটি বলা যায় সুইসাইডাল নোট। সেটি স্টাডি করে অন্যান্য তথ্য নিয়ে আমরা প্রাথমিক তদন্ত করতে থাকি। ইতোমধ্যে কুমিল্লার কোতয়ালী থানাতে অবন্তিকার মা তাসলিমা বেগম আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলার দুই আসামি আম্মান ও দ্বীন ইসলাম ঘটনার পর থেকেই আমাদের নজরদারিতে ছিলেন। কোতয়ালী থানা পুলিশ যখন প্রয়োজন মনে করেছে, আমাদের জানালে আমরা তাদেরকে গ্রেপ্তার করি। ইতোমধ্যে তাদেরকে কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

অবন্তিকার আত্মহত্যায় গ্রেপ্তারদের কোনো প্ররোচনা থাকলে বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হবে এবং সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, তাদের দুইজনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, এসবের হয়ত খণ্ডিত অংশের সত্যতা আছে। সবগুলো অভিযোগ মিলে গেছে বলা যাবে না। তবে তাদের সংশ্লিষ্টতার সত্যতা পাওয়া গেছে।

এর আগে এ বিষয়ে কোতয়ালী থানায় একটি জিডি হয়েছিল, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০২২ সালের ৪ আগস্ট একটি জিডি হয়েছিল। সেখানে ফেসবুকের ফেক আইডি থেকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল। পরে ৮ আগস্ট তারা উপাচার্য বরাবর একটি অভিযোগ দেওয়া হয়। বিষয়টি প্রশাসনিকভাবে নিষ্পত্তি হলেও হয়ত মানসিকভাবে অবন্তিকা বিপর্যস্ত ছিলেন মনে হয়েছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক