বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ শুধু ফ্যাসিস্ট নয়, বর্ণবাদীদের কবলেও পড়েছে। তারা দেশকে দুই ভাগে ভাগ করে ফেলেছে। তার একটি হলো আওয়ামী লীগ, অন্যটি বিরোধী দল। তারা বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকান ও ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে।
বুধবার দুপুরে কাকরাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব তিনি এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা সাম্প্রদায়িক শক্তি, গোষ্ঠী তৈরি করছে। তাদের মুখে সাম্প্রদায়িকতার কথা মানায় না। গোটা দেশকে তারা গিলে ফেলেছে। এটা থেকে মুক্তি পেতে বিএনপি সংগ্রাম করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৭১ সালে স্বাধীনতার ঘোষণা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক করার কিছু নেই। এটি বিতর্ক করলে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্ক করা হবে। যারা বিতর্ক করে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নয়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছিলেন, যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন প্রত্যেকের লক্ষ্য ছিল একটা, তা হলো গণতন্ত্র। এ সরকার ১৫ বছরে গণতন্ত্র নিয়ে কোনো কাজ করেনি, বরং ক্ষমতায় টিকে থাকতে নির্বাচন ক্ষমতা কেন্দ্রিক ব্যবহার করেছে। এমনকি যারা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাদের জেলে পুড়েছে।
এখন কথা বলার সময় কম, কাজ করতে হবে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিকল্পিতভাবে বিকৃত করছে আওয়ামী লীগ। তারা মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। সাত জানুয়ারি দেশের মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বিদ্যুৎখাতে ৭০ বিলিয়ন ডলার লুট হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অপ্রয়োজনীয় পাওয়ার প্লান্ট তৈরি করে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
তরুণদের আরও শক্ত করে জেগে উঠার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ছাত্রদের অগ্রনী ভূমিকা রাখতে হবে। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের পর ছাত্রদের সেভাবে সংগঠিত করা যায়নি। আমাদের একমাত্র কাজ মানুষকে জাগিয়ে তোলা। সংগঠিত করা। এরমধ্য দিয়ে ১৫ বছর ধরে যে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি, তার পতন নিশ্চিত করা। আজ ভূ-রাজনীতি যা চলছে সবদিকে শুধু স্বার্থ আর স্বার্থ। বড় বড় দেশের একটাই লক্ষ্য তাদের স্বার্থ রক্ষা করা।
বিশ্ব প্রেক্ষাপট, দেশের সামগ্রিক অবস্থাকে বিবেচনায় নিয়ে সামনের দিনের রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে হবে। ভোটের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম, আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই, যোগ করেন ফখরুল।