All Postব্যাবসা-বাণিজ্য

সরকারের বেঁধে দেয়া দামে মিলছে না কোনো পণ্যই

মাছ, মাংস, ডিম, সবজির মতো নিত্য প্রয়োজনীয় ২৯টি পণ্যের খুচরা মূল্য সরকার বেঁধে দিলেও নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে না কোনো কিছুই।

সরকারের দামকে পাত্তা না দিয়ে ব্যবসায়ীরা বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করছেন। নির্ধারিত দামে পণ্য বিক্রি না করায় সরকারেরও তেমন কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়েনি।

ক্রেতারা বলছেন, দাম বেঁধে দেওয়ার পর বাজারগুলোতে জোরালো কোনো অভিযান চালানো হয়নি। আর এ কারণেই বেধে দেয়া দাম কার্যকর হয়নি।

এদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে পণ্যের দাম না কমলে খুচরায় কমবে না।

নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের খুচরা দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকারের সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নির্ধারিত দামে কৃষিপণ্য ক্রয়–বিক্রয়ের অনুরোধ জানানো হয়।

সরকারি হিসাবে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি খুচরা পর্যায়ে ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা, গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা, প্রতি পিস ডিম ১০ টাকা ৪৯ পয়সায় বিক্রি হওয়ার কথা।

কিন্তু শুক্রবার রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এই দামে বিক্রি হচ্ছে না কোনো পণ্যই। এখনো আমিষের বাজার বেশ চড়া। মুরগির বাজারে দেশি, ব্রয়লার ও লেয়ারের দাম আগের সপ্তাহ থেকে বেড়েছে।

veg 2

গরুর মাংসের দোকানে ৬৫০ টাকা কেজি দাম ঝোলানো থাকলেও এ দামে বেচেন না বিক্রেতারা। সবজির দামও এখনো বেশি। তবে মুদি পণ্যের দাম বিদায়ী সপ্তাহে নতুন করে দাম বাড়েনি।

আমিষের বাজারে বেড়েছে সব রকম পণ্যের দাম। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৩৬০ টাকায়। ব্রয়লারের দাম ২১০ থেকে ২৩৫ টাকা। লেয়ার ৩২০ টাকা প্রতি কেজি।

সবই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় মুরগির দাম বেড়েছে। আর ইফতার ও অন্যান্য দাওয়াতের চাহিদায় মুরগির চাহিদা বেশি।

এদিকে মাংসের বাজারে দোকানে ঝোলানো দামের তালিকা থেকে বেশি দামে পণ্য বিক্রির অভিযোগ আছেই। যদিও দোকানিরা তা অস্বীকার করেছেন।

বাজারে জোগান কমায় বেড়েছে মাছের দাম। গেলো সপ্তাহের ৩৫০ টাকা কেজির রুই কাতলা শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৪২০ থেকে ৪৪০ টাকায়।

দু সপ্তাহে নতুন করে বা বাড়লেও সবজির দাম এখনো বেশি। দাম উঠানামায় চলছে পেঁয়াজের বাজার। শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আর রসুনের দামও খানিকটা বেড়েছে।

এ সর্ম্পকিত সংবাদ

Back to top button