All Postআন্তর্জাতিক

পশ্চিমবঙ্গে খেলা হবে ‘দিদি বনাম মোদী’

শুধু ভোরের অপেক্ষায় গোটা ভারত। এরপরই দেশটির প্রায় ৯৭ কোটি ভোটার লোকসভার জন্য নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নিতে শুরু করবেন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই নির্বাচনটি হবে মোট সাত ধাপে, যার মধ্যে প্রথম দফার ভোট হবে শুক্রবার। ১ জুন শেষ দফার ভোট। ৪ জুন জানা যাবে ভোটের ফল।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশটিতে এবার ভোট হবে ৪৪ দিন ধরে। ৫৫ লাখ ইলেকট্রনিং ভোটিং মেশিন ব্যবহার করে এবার ভোট দিবেন ৯৬ কোটি ৯০ লাখ নিবন্ধিত ভোটার। হাইভোল্টেজ নির্বাচনে সবার নজরে থাকে পশ্চিমবঙ্গ। সাতটি ধাপের প্রতি ধাপেই এই রাজ্যে ভোটের আয়োজন রাখা হয়েছে।

শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের প্রথম দফার নির্বাচন হচ্ছে লোকসভার তিনটি আসনে। আসন তিনটি হলো কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ার আসন। ২০১৯ সালের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল ২২, বিজেপি ১৮ এবং কংগ্রেস ২টি আসনে। বামফ্রন্ট ছিল শূন্য।

পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া, বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক, কংগ্রেসের পিয়া রায় চৌধুরী এবং বামফ্রন্টের শরিক ফরোয়ার্ড ব্লকের নীতীশ চন্দ্র রায়। আরও রয়েছে রয়েছে অন্য ছোটখাটো দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও। তবে মূল লড়াই পদ্ম বনাম ঘাসফুল।

জলপাইগুড়ি আসনে লড়ছেন তৃণমূলের নির্মল চন্দ্র রায়, বিজেপির জয়ন্ত কুমার রায়, বামফ্রন্টের সিপিএম প্রার্থী দেবরাজ বর্মণ। রয়েছে অন্যান্য দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আলিপুরদুয়ার আসনে লড়ছেন তৃণমূলের প্রকাশ চিক বরাইক, বিজেপির মনোজ টিগ্গা, বামফ্রন্টের মিলি ওঁরাও।

পশ্চিমবঙ্গে এবার ভোট দেবেন ৭ কোটি ৬৯ লাখ ভোটার। এর মধ্যে পুরুষ ৩ কোটি ৮৫ লাখ ৩০ হাজার ৯৮১ জন। নারী ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৪ হাজার ৯৬০ জন। রাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার ভোটার ১ হাজার ৮৩৭ জন। ভোট নির্বিঘ্ন করতে ২৬৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে থাকছে ১১ হাজার রাজ্য পুলিশ।

নির্বচন কমিশন রাজ্যের কোচবিহার আসনের ২ হাজার ৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি কেন্দ্র, আলিপুরদুয়ারের ১ হাজার ৮৬৭টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ির ১ হাজার ৯০৪টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৯১টি ভোটকেন্দ্রকে স্পর্শকাতর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রথম দফার এই তিন আসনের নির্বাচনে ২০১৯ সালে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। কোচবিহারে নিশীথ প্রামাণিক, জলপাইগুড়িতে জয়ন্ত রায় এবং আলিপুরদুয়ারে জন বারলা। এবারও বিজেপি আশাবাদী, এই তিনটি আসনেই আবার তারা জিততে চলেছে। কারণ, এখনো উত্তরবঙ্গে বিজেপি শক্তিশালী।

এবিপি আনন্দ ও সি-ভোটার তাদের জনমত জরিপে ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রথম পর্বের তিনটি আসনেই জিততে চলেছে বিজেপি। যদিও তৃণমূল বলেছে, এই রাজ্যের মানুষ এখনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পক্ষে। এবার তারা এই তিন আসনে ধর্মান্ধ বিজেপিকে পরাস্ত ইন্ডিয়া জোটের হাত শক্তিশালী করবে।

এদিকে, ভোট শুরুর দু’দিন আগে, বুধবার পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল ও বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ এর অন্যতম দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে। একে প্রথাগত ‘ইশতেহার’ বলতে চাইছে না তৃণমূল। বলা হচ্ছে ‘দিদির শপথ’। কেন্দ্রে ‘ইন্ডিয়া’ সরকার গঠন করলে এই প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

এ সর্ম্পকিত সংবাদ

Back to top button