All Postক্রাইম সিন

সর্ষের মধ্যে ভূত!, বড় কর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার

সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে গত কয়েকদিনে সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

রাজধানীর উত্তরায় অভিযান চালিয়ে সেহেলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে রোববার সাংবাদিকদের জানিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, অর্থের বিনিময়ে জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট কেনাবেচায় জড়িত ছিলেন এই চক্রের সদস্যরা। দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাল সার্টিফিকেট বিক্রির কথা স্বীকার করেছেন সেহেলা পারভীন।

আর এই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে বলেও জানান হারুন।

তিনি বলেন, সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সন্ধান পেয়ে পহেলা এপ্রিল মিরপুরের পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এই দুজন হলেন-বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়।

আর এই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে বলেও জানান হারুন।

তিনি বলেন, সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সন্ধান পেয়ে পহেলা এপ্রিল মিরপুরের পীরেরবাগে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এই দুজন হলেন-বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান ও একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ জাল সার্টিফিকেট, মার্কশিট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট একেএম শামসুজ্জামান। ইমেজ: একাত্তর।

এদের গ্রেপ্তারের পরই বেরিয়ে আসে আসল তলের বিড়াল। গত ৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয় গড়াই কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক সানজিদা আক্তার কলিকে।

গ্রেপ্তার হওয়া কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম এনালিস্ট একেএম শামসুজ্জামানের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে অসংখ্য সার্টিফিকেট নিয়ে কলি নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করতেন।

গ্রেপ্তারের পর আদালতে পাঠানো হলে জবানবন্দি দেন এই তিনজন। সেখানে মেলে আরো তথ্য। আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে চক্রের অন্যান্যদের নাম বলেন তারা।

এরপর শামসুজ্জামান, ফয়সাল ও কলির ব্যবহার করা ডিভাইস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমানকে।

পরদিন শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয় যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুনকে। চলমান অভিযানেই বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনও সার্টিফিকেট ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত বলে জানতে পারে পুলিশ।

এবার বেশ আটঘাট বেঁধে অভিযানে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। প্রমাণসহ হাতেনাতে ধরে ফেলা হয় সেহেলাকে। ডিবির হারুন জানান, শনিবার উত্তরার ১৮ নং সেক্টরের রাজউকের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সেহেলাকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

‘অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে রেজাল্ট, নাম ঠিকানা ও শিক্ষার্থীদের বয়স পরিবর্তনসহ অবৈধভাবে রেজিস্ট্রেশন ও রোল নাম্বার দেয়ারও কাজ করে আসছিলো। আর এই সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত সেহেলা পারভীন,’ বলেন তিনি।

এ সর্ম্পকিত সংবাদ

Back to top button