বেনজীরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটের পরপরই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশের সাবেক এ শীর্ষ কর্মকর্তার সম্পদের বিষয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, তিনি ও তার স্ত্রীর শত কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।
এসব খবরের প্রেক্ষিতে সোমবার বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান।
এই রিটের ওপর শুনানি হবে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়।
তবে এই রিট দায়েরের কিছুক্ষণের মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। তিন সদস্যের একটি কমিটি অনুসন্ধান শুরু করেছে।
বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদক চেয়ারম্যান রোববার চিঠি দেন সংসদ সদস্য ও আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।আর অনুসন্ধান শুরু না করলে আদালতে যাওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এরপর সোমবারই আদালতে রিট করা হয়।
অনুসন্ধানে শুরু করতে কেনো এতোটা সময় নেয়া হলো- এ প্রশ্নের জবাবে দুদক সচিব খোরশেদা বলেন, ঈদের ছুটি ও প্রস্তুতির কারণে সময় লেগেছে।
বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে ‘অবৈধ সম্পদ’ গড়ার সংবাদ প্রকাশের প্রতিক্রিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন বেনজীর আহমেদ। বিবৃতিতে অবৈধ সম্পদ অর্জনের কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।